শ্রমিক অধিকার হরণকারীদের উপর বাণিজ্য নিষেধাজ্ঞা দেয়া হবে : যুক্তরাষ্ট্র

Anweshan Desk

Forhad Hossain Fahad

১৭ নভেম্বর ২০২৩, ১৯:৩৬ পিএম


শ্রমিক অধিকার হরণকারীদের উপর বাণিজ্য নিষেধাজ্ঞা দেয়া হবে : যুক্তরাষ্ট্র

বিশ্বজুড়ে যারা শ্রমিক অধিকার হরণ করবে; শ্রমিক ইউনিয়নের নেতা, শ্রমিক অধিকারের পক্ষের কর্মী এবং  শ্রমিক সংগঠনগুলোর বিরুদ্ধে যে বা যারা হুমকি ও ভয়ভীতি প্রদর্শন বা আক্রমণ করবে তাদের উপর বাণিজ্য নিষেধাজ্ঞা, ভিসা বিধি-নিষেধসহ শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র। 

বৃহস্পতিবার যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্টনি ব্লিঙ্কেনের এ সংক্রান্ত একটি বিবৃতি প্রকাশিত হয়েছে যুক্তরাষ্ট্র সরকারের ওয়েবসাইটে। সেখানে বলা হয়েছে যারা শ্রমিকদের নিপীড়ন করবে, তাদের বিরুদ্ধে ভিসা বিধিনিষেধ, বাণিজ্যিক শাস্তিমূলক ব্যবস্থা ও ভিসা নিষেধাজ্ঞার মতো ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

এ সম্পর্কে পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্টনি ব্লিঙ্কেন বলেন, ‘বিশ্বজুড়ে আন্তর্জাতিকভাবে স্বীকৃত শ্রমিক অধিকার সুরক্ষা ও সম্মানের সঙ্গে অনুমোদন দিতে সরকারসমূহ, শ্রমিক ও ওয়ার্কারদের সংগঠন, ট্রেড ইউনিয়ন, নাগরিক সমাজ এবং বেসরকারি খাতের সঙ্গে আমরা যোগাযোগ রাখবো। আমাদের সব রাষ্ট্রদূত, বিশ্বজুড়ে দূতাবাসগুলো যারা পরিচালনা করছেন তারা ওয়ার্কার এবং ইউনিয়নগুলোর সঙ্গে কাজ করবেন, যাতে তাদের কণ্ঠের প্রতিফলন ঘটে।

গত কিছুদিন ধরে বাংলাদেশে চলা শ্রমিক আন্দোলন প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ‘আমরা বাংলাদেশি পোশাক শ্রমিক ও অধিকারকর্মী কল্পনা আক্তারের মতো মানুষদের চাই। তিনি বেঁচে আছেন কারণ তার পক্ষে কথা বলেছে মার্কিন দূতাবাস। যখন আমরা আমাদের কণ্ঠস্বরকে, আমাদের এডভোকেসিকে ব্যবহার করি, তখন যারা শ্রম অধিকার নিয়ে এগিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করছেন তাদের সুরক্ষিত ও সুরক্ষা নিশ্চিত করতে আমাদের উদ্যোগ বড় ব্যবধান তৈরি করতে পারে।’

ব্লিঙ্কেন বলেন, ‘শ্রম অধিকার আমেরিকার জাতীয় নিরাপত্তা এবং বৈদেশিক নীতির চাবিকাঠি। এটা শুধুই দেশের অভ্যন্তরীণ বিষয় নয়। এটা আমাদের জাতীয় নিরাপত্তা ও বৈদেশিক নীতির বিষয়।’

এদিকে হোয়াইট হাউস থেকে দেয়া এক বিবৃতিতে বলা হয়, প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন বৃহস্পতিবার প্রথমবারের মতো একটি স্বারকলিপিতে স্বাক্ষর করেছেন। তাতে বিশ্বজুড়ে শ্রমিক অধিকারের প্রতি তার প্রশাসনের প্রতিশ্রুতির কথা বলা হয়েছে। বিষয়টিকে ঐতিহাসিক পদক্ষেপ হিসেবে বর্ণনা করেছে হোয়াইট হাউজ।

এ স্মারকলিপি স্বাক্ষরের পরে সানফ্রান্সিসকোর একটি হোটেলে শ্রমিক নেতাদের সামনে এর বিস্তারিত তুলে ধরেন যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্টনি ব্লিঙ্কেন।


Link copied