সংস্কৃতিতে মৌলবাদের আগ্রাসন

Anweshan Desk

Forhad Hossain Fahad ( Editor In Chief )

০৩ মে ২০২৩, ১৮:০২ পিএম


সংস্কৃতিতে মৌলবাদের আগ্রাসন

যে কোনও জাতি বা জনগোষ্ঠীর জীবনযাপন, আচরণ, বিনোদন ও চেতনার দর্পণ হচ্ছে সংস্কৃতি। একটি জাতি মানসিকভাবে কতটা উন্নত তা সেই জাতির সংস্কৃতির মাধ্যমে প্রকাশ পায়। ভৌগোলিক পরিবেশের সাথে মানুষের অভিযোজনের উপর ভিত্তি করে একটি জাতির সংস্কৃতি গড়ে ওঠে। আমাদের গাঙ্গেয় অববাহিকায় এই শ্যামল সুফলা বাংলাদেশ ভৌগলিক দিক থেকে যেমন মানবসভ্যতা বিকাশের  অনুকূল, সংস্কৃতিতেও তেমনি সমৃদ্ধ। আমাদের রয়েছে হাজার বছরের উদার, অসাম্প্রদায়িক এবং মানবিক মূল্যবোধের সংস্কৃতি। ভৌগোলিক কারণে এই অঞ্চলের মানুষ বর্বর এবং হিংস্র নয়, বরং উদার ও মানবিক। এই সংস্কৃতির চর্চা একজন মানুষ বা সমাজকে উদার এবং মানবিক করে তোলে। এই অঞ্চলে ধর্মের চেয়ে মানুষকে এবং মানুষের সম্পর্ককে বেশি গুরুত্ব দেয়া হয়েছে, মানুষকে বসানো হয়েছে দেব দেবীর আসনে। মধ্যযুগের কবি চন্ডীদাস যেমন লিখেছেন, 'সবার উপর মানুষ সত্য তাহার উপর নাই।'

যে অসাম্প্রদায়িক সংস্কৃতি এদেশের সকল ধর্মের এবং মতাদর্শের মানুষকে একতাবদ্ধ করে ১৯৭১-এ মুক্তিযুদ্ধে উদ্বুদ্ধ করার মাধ্যমে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখেছিলো, সেই সংস্কৃতি আজ হুমকির  মুখে। '৭৫ এ বঙ্গবন্ধুকে হত্যার মধ্য দিয়ে পাকিস্তানপন্থী সাম্প্রদায়িক, মৌলবাদীদের পৃষ্ঠপোষক শাসকরা বাঙালি অসাম্প্রদায়িক সংস্কৃতিকে ধ্বংস করার এজেন্ডা আবার হাতে নিয়েছিলো। সেই লক্ষ্যে তারা পাকিস্তান এবং মধ্যপ্রাচ্যের অনুদানে দেশে অসংখ্য কওমি মাদ্রাসা তৈরি করা শুরু করেছিলো। যে মাদ্রাসাগুলো ছিলো পুরোপুরি বাঙালি সংস্কৃতি বিরোধী এবং মৌলবাদী সংস্কৃতির পক্ষপাতী। এভাবে শুরু হয়েছিলো ওয়াজ মাহফিলের নামে বাঙালি সংস্কৃতির বিরুদ্ধে আগ্রাসী প্রচারণা এবং সেগুলোকে ধ্বংস করে মানুষের মনোজগতে উগ্রতা ও সন্ত্রাসের আধিপত্য প্রতিষ্ঠার অপচেষ্টা।

মুক্তিযুদ্ধের সুবর্ণজয়ন্তী অতিক্রান্ত হওয়ার পরও মুক্তিযুদ্ধের চেতনার সংস্কৃতি বিপন্ন। এখনও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের চেয়ে ওয়াজ মাহফিল নামক সাম্প্রদায়িক উস্কানির মঞ্চকে অধিকতর গুরুত্ব দেয়া হচ্ছে। বাঙালির অসাম্প্রদায়িক সংস্কৃতির বিরুদ্ধে মাইক লাগিয়ে কথা বললে তাদের কিছু করা হয় না, অথচ সেটার প্রতিবাদ করলে ধর্মানুভুতিতে আঘাতের অভিযোগে গ্রেফতার করা হয়। ৭৫ পরবর্তী পাকিস্তানপন্থী শাসকদের পরিকল্পনা এখনও অব্যাহত রয়েছে। অথচ আমাদের বুঝা উচিৎ যে দেশীয় সংস্কৃতির চেয়ে যখন ভিনদেশি ধর্মীয় মৌলবাদজাত সংস্কৃতি বেশি প্রাধান্য পায়, তখন তা শুধু সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতিই নষ্ট করে না, জাতিগত অস্তিত্ব সংকটেরও প্রধান কারণ হয়ে দাঁড়ায়।

আগে বাংলাদেশের প্রায় প্রতিটি গ্রামে মেলা হতো, যেসব মেলার মূল আকর্ষণ থাকতো সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান। সেসব মেলায় ধর্ম-বর্ণ-লিঙ্গ নির্বিশেষে সবার অংশগ্রহণের মাধ্যমে সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির এক মিলনমেলা ঘটতো যা সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি এবং সাংস্কৃতিক চর্চায় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখতো। গ্রামেগঞ্জে যাত্রাপালা হতো, লোকসংগীতের আসর বসতো, বিভিন্ন সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন হতো, মঞ্চ নাটক, বাউল সংগীত ইত্যাদির আয়াজন হতো, কিন্তু এখন সেসব উদার মানবিক সংস্কৃতিকে গ্রাস করে ফেলছে মৌলবাদী সংস্কৃতি। এখন ধর্মের নামে সেসব সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান বন্ধ করে দেয়া হচ্ছে। পহেলা বৈশাখের বিরুদ্ধে হুংকার দেয়া হচ্ছে; চিত্রকর্ম ও আলপনাকে সুন্দর আর্ট হিসেবে না দেখে সেসবের গায়ে কালি লাগিয়ে নষ্ট করা হচ্ছে, ভাস্কর্যের সৌন্দর্য উপভোগ করার পরিবর্তে সেগুলো ভাঙার জন্য উৎসাহ দেয়া হচ্ছে। যেখানেই সংস্কৃতির চর্চা হচ্ছে সেখানেই তারা হানা দিচ্ছে ধর্মের নামে। এসব সাংস্কৃতিক চর্চা বন্ধ করার জন্য গুরুত্বপূর্ণ কৌশল হিসেবে নিয়েছে ওয়াজ মাহফিলকে। যেসব অঞ্চলে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান বেশি হতো সেসব অঞ্চলের কিছু মুসলিমকে ব্রেইনওয়াশ করিয়ে বেশি বেশি  ওয়াজ মাহফিলের আয়োজন করতে বলা হতো। ওয়াজ মাহফিলে সেসব সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানকে অকথ্য ভাষায় নিন্দা করা হচ্ছে। এমনকি যারা সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন করতো বা যারা সম্পাদনা করতো তাদেরকে ডেকে নিয়ে এসে অলৌকিক ভয় দেখিয়ে তওবা পড়ানো হচ্ছে ৷ ওসব ধর্মব্যবসায়ীদের কথার সমালোচনা করতে গেলেই ধর্মানুভুতিতে আঘাতের অভিযোগ এনে তরুণ সংস্কৃতিকর্মী ও অনলাইন এক্টিভিস্টদের উপর ধর্মান্ধদের দিয়ে হামলা এবং পুলিশকে দিয়ে মামলা করানো হচ্ছে। অনেকেই সামাজিক কারণে এসব ছেড়ে দিতে বাধ্য হন। কেননা, ওয়াজ মাহফিলে মুক্তচিন্তক ও সংস্কৃতি কর্মীদের খুবই নেতিবাচকভাবে তুলে ধরা হচ্ছে এবং এটি দীর্ঘ সময় ধরে তা হয়ে আসছে। এছাড়াও, সাংস্কৃতিক প্রতিষ্ঠানের কাছাকাছি মসজিদ বানানোটাও তাদের আরেকটি কৌশল। যেন মসজিদের পবিত্রতা রক্ষার নামে সাংস্কৃতিক কর্মকাণ্ড বন্ধ করতে পারে।

আমাদের এই উপমহাদেশে ইসলাম জনপ্রিয়তা পেয়েছিলো আঞ্চলিক রূপে, কিন্তু ওহাবিজমের প্রভাবে সেই আঞ্চলিক রূপ এখন আর নেই। মৌলবাদী সংস্কৃতির কুপ্রভাব সমাজের রন্ধ্রেরন্ধ্রে ঢুকিয়ে দেয়া হচ্ছে। আমাদের পোশাক-পরিচ্ছদ, খাদ্যাভ্যাস, ভাষাতেও পরিবর্তন নিয়ে আসছে। পাকিস্তান আমলে বাঙালি নারীর চিরন্তন পোশাক শাড়ির সঙ্গে যুক্ত হয়েছিল সালোয়ার-কামিজ । এখন এর সঙ্গে যুক্ত হয়েছে বোরকা ও হিজাব। অনেকে বলছে এটা নাকি পোশাকের  স্বাধীনতা, তবে পোশাকের স্বাধীনতা তো আমাদের সংস্কৃতি বা আধুনিক বৈষম্যহীন পোশাকও হতে পারতো, তার পরিবর্তে ভিনদেশি মধ্যযুগীয় অসুবিধাজনক পোশাক কেন হবে? আসলে কি এটা স্বাধীনতা নাকি মেয়েদের চিরায়ত নিয়মে ধর্মের ভয় দেখিয়ে দমিয়ে রাখার চেষ্টা? এমনকি স্কুল কলেজের মতো প্রতিষ্ঠানেও যারা বোরকা পরে না যাদের তাচ্ছিল্য করা হচ্ছে। তারা হিন্দু নাকি মুসলিম তা জিজ্ঞেস করা হচ্ছে মূলত লজ্জা দেয়ার জন্য। স্কুল কলেজের মৌলবাদী শিক্ষকরাও যখন নির্বোধের সংস্কৃতিকে ধর্মের মুখোমুখি দাঁড় করায় তখন তা খুবই হতাশাজনক।

এদিকে কথায় কথায় বাংলা শব্দের পরিবর্তে না বুঝে আরবি শব্দ বলাটাও মৌলবাদী সংস্কৃতির এক অন্যতম অপপ্রয়াস। আবার বিভিন্ন ধর্মীয় শব্দ যেমন : খোদা হাফেজ হয়ে গিয়েছে আল্লাহ হাফেজ ; রমজান হয়ে গিয়েছে রমাদান ; নামাজ হয়ে যাচ্ছে সালাত ; জিলাফি হয়ে যাচ্ছে জালেবি ; সেহরি হচ্ছে সাহরি। এভাবেই ধর্মের আঞ্চলিক রূপ ধ্বংস করে কেন্দ্রীয় রূপ দেয়ার মাধ্যমেই সূক্ষভাবে ঢুকে পড়ছে মৌলবাদী সংস্কৃতি। অথচ সেসব মৌলবাদীরা এইটুকু ভাবে না যে ইসলামের নবী মোহাম্মদ নিজেও তো আঞ্চলিক রূপই গ্রহণ করেছিলেন। পূর্বের কিতাবগুলোতে হিব্রু যে উচ্চারণ ছিলো তাতো তিনি গ্রহণ করেননি, বরং তিনি আরবীয় উচ্চারণই গ্রহণ করেছিলেন। তাইতো আমরা বিভিন্ন নবীদের নাম ও ধর্মীয় বিধানের উচ্চারণের ক্ষেত্রে পূর্বের ধর্মগ্রন্থগুলোর তুলনায় কুরআনে ভিন্নতা দেখতে পাই। যেমন : মোশেকে বলা হয় মুসা, শেলমকে বলা হয়েছে সালাম, যেদাকাহ কে যাকাত। এমন আরও অসংখ্য উদাহরণ রয়েছে। শুধু তাই নয়, নবী আরবে জন্ম নিয়েছিলেন বলে তাদের সংস্কৃতি ধারণ করেছিলেন, আর হিন্দু ধর্মের অবতাররা এই উপমহাদেশে জন্ম নিয়েছিলেন বলেই উপমহাদেশীয় সংস্কৃতি গ্রহণ করেছিলেন। তাই বলে বাঙালি সংস্কৃতি যেমন হিন্দুয়ানী সংস্কৃতি হয়ে যায় না, ঠিক তেমনই আরবীয় সংস্কৃতিও ইসলাম হয়ে যায় না। বাঙালির এতো সমৃদ্ধ সংস্কৃতিকে উপেক্ষা করে ধর্মের নামে আরবীয় রুক্ষ সংস্কৃতি গ্রহণ করার অপচেষ্টা মূলত জ্ঞানের দৈন্যতা ছাড়া কিছুই নয়। প্রকৃতপক্ষে সংস্কৃতি তো কোন ধর্মের হয় না, সংস্কৃতি হয় অঞ্চলের। একটি ধর্মের অবতার যে অঞ্চলে জন্ম নেন বা বেড়ে ওঠেন সেই অঞ্চলের সংস্কৃতিই তিনি ধারণ করেন। সংস্কৃতিকে ধর্মীয়করণ করা সম্পূর্ণ রাজনৈতিক অপচেষ্টা। এই মৌলবাদী সংস্কৃতির চূড়ান্ত ফলাফল হলো সাম্প্রদায়িকতা, উগ্রতা এবং জঙ্গিবাদ। উদার মানবিক সংস্কৃতি যেখানে বিপন্ন, জঙ্গিবাদ সেখানে আসন্ন।

এই মৌলবাদী সংস্কৃতির বিরুদ্ধে দলমত নির্বিশেষে সোচ্চার হতে হবে যেভাবে আমাদের অগ্রজরা সোচ্চার হয়েছিলেন পাকিস্তানি সাংস্কৃতিক আগ্রাসনের বিরুদ্ধে। আজ যারা মৌলবাদী সংস্কৃতির পৃষ্ঠপোষকতা করছে তারা সেসব পাকিস্তানিদের অনুসারী যারা ধর্মের নামে বাঙালির উপর উর্দু ভাষা চাপিয়ে দিয়েছিলো। সেই লক্ষ্যে প্রতিটি সাংস্কৃতিক প্রতিষ্ঠানকে কেন্দ্র করে সাংস্কৃতিক আন্দোলন গড়ে তুলতে হবে। পাশাপাশি, রাজনৈতিক ক্ষমতার জোরে যেন কোন অযোগ্য ব্যক্তি গুরুত্বপূর্ণ পদে বসতে না পারে সে ব্যাপারেও সোচ্চার হতে হবে। সাংস্কৃতিক কর্মকাণ্ডগুলো কতটুকু সম্পাদন করা হচ্ছে, দায়িত্ববানরা তাদের দায়িত্ব কতটুকু পালন করছে সেসব বিষয়েও বিশেষভাবে তদারকি করতে হবে।

 

জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান একটি অসাম্প্রদায়িক কল্যাণমুখী মানবিক রাষ্ট্র ও সমাজ গড়ার স্বপ্ন দেখেছি ছিলেন যা মূর্ত  হয়েছে ১৯৭২ এর সংবিধানে।

 

বঙ্গবন্ধুকে হত্যার মাধ্যমে যে মৌলবাদী সংস্কৃতির বীজ বপন ও বর্ধন করে স্বাধীনতার পক্ষের সংস্কৃতিকে গ্রাস করা হয়েছে সেই দেশীয় সংস্কৃতিকে উদ্ধার করা এবং মৌলবাদী সংস্কৃতিকে প্রতিহত করা বঙ্গবন্ধু কন্যার নৈতিক দায়িত্ব। সেজন্য সরকারের উচিত দেশীয় এবং মুক্তিযুদ্ধের পক্ষের সংস্কৃতিকে রক্ষা করতে প্রশাসনিক পদক্ষেপ নেয়া। বিশেষভাবে প্রশাসনে নিয়োগ এবং পদোন্নতির ক্ষেত্রে তারা যেন মৌলবাদী না হয় এবং মুক্তিযুদ্ধের আদর্শে বিশ্বাসী হয় তা নিশ্চিত করা। শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে বিশেষভাবে স্কুলগুলোতে শিক্ষক নিয়োগের সেই শিক্ষক যেন মৌলবাদী চিন্তাচেতনার না হয় ব্যাপারে যথেষ্ট সচেতন থাকতে হবে কেননা স্কুলে শিক্ষক নিয়োগ ক্ষেত্রে এসব ব্যাপারে খুবই উদাসীন। গ্রামগঞ্জের স্কুলগুলোকে মাদ্রাসায় পরিণত করা হচ্ছে। এমনও স্কুল আছে যেগুলো দেখে বুঝা যাবে না এটা স্কুল নাকি মাদ্রাসা। মাদ্রাসায়ও যেন বিজাতীয় সংস্কৃতির চর্চা না হয় এবং মাদ্রাসার ছাত্ররাও যাতে উগ্র জঙ্গিবাদী না হয়ে বাঙালির হাজার বছরের অসাম্প্রদায়িক সংস্কৃতির চেতনায়  উজ্জীবিত হয়ে রাষ্ট্র ও জাতি গঠনে অবদান রাখতে পারে তার জন্য মাদ্রাসা শিক্ষা ও পরিচালন ব্যবস্থার আমূল সংস্কার প্রয়োজন। পাশাপাশি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে যারা মৌলবাদ ও সাম্প্রদায়িকতার ভাইরাস ছড়াচ্ছে তাদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নিতে হবে।

যেসব ওয়াজ মাহফিলে দেশের সংস্কৃতির বিরুদ্ধে বিদ্বেষ ছড়ানো হয় সেসব ওয়াজ মাহফিলের বক্তা এবং আয়োজকদের  বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে হবে। দুঃখজনক হলেও সত্য যে বছরের পর বছর ওয়াজ মাহফিলে দেশের শিল্প-সাহিত্য এবং সংস্কৃতির বিরুদ্ধে ধর্মব্যবসাীরা বিষদ্গার করে আসছে, দেশের গুরুত্বপূর্ণ  সাংস্কৃতিক ব্যাক্তিত্ব, কবি- সাহিত্যিক, বাউল-শিল্পীদের বিরুদ্ধে বিদ্বেষ ছড়াচ্ছে  যা জাতীয় নিরাপত্তার জন্য হুমকি হলেও এজন্য সেসব ধর্মব্যবসায়ীদের কখনও গ্রেফতার করা হয়নি, অথচ সরকারের বিরুদ্ধে যখন কিছু বলে তখন ঠিকই তাদের গ্রেফতার করা হয়। এসব ব্যাপারে সরকারের সচেতন হতে হবে। ব্যক্তি সরকারের ভাবমূর্তির চেয়ে রাষ্ট্রের ভাবমূর্তি যে বেশি গুরুত্বপূর্ণ তা মনে রাখতে হবে। একটি জাতিকে এগিয়ে নিতে হলে তার মৌলিক সংস্কৃতির সংরক্ষণ এবং চর্চা অপরিহার্য।

 

লেখক : ফরহাদ হোসেন ফাহাদ ( সাংবাদিক এবং মানবাধিকারকর্মী ) 


Link copied