হিন্দু অধ্যক্ষককে গলায় জুতার মালা পরিয়ে হেনস্তা : অন্যতম হোতা নুরুন্নবী তিন দিনের রিমান্ডে

Anweshan Desk

মানবাধিকার ডেস্ক

০৬ জুলাই ২০২২, ২০:০৬ পিএম


হিন্দু অধ্যক্ষককে গলায় জুতার মালা পরিয়ে হেনস্তা : অন্যতম হোতা নুরুন্নবী তিন দিনের রিমান্ডে

নড়াইলে কলেজ অধ্যক্ষের গলায় জুতার মালা দেয়ার আরেক হোতা নুরুন্নবীর তিন দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন আদালত। বুধবার (৬ জুলাই) দুপুরে জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আমাতুল মোর্শেদা আসামির রিমান্ড মঞ্জুর করেন।

 

এর আগে মামলার অন্যতম অভিযুক্ত রহমতউল্লাহ্ রনি, মনিরুল ইসলাম রুবেলসহ চার আসামিকে গত ৪ জুলাই একই আদালতের পাঠানো তিন দিনের রিমান্ড শেষ হচ্ছে আজ।

পুলিশ জানায়, হজরত মুহাম্মদ  সম্পর্কে কটূক্তিকারী ভারতের বিজেপি নেতা নূপুর শর্মার সমর্থনে নড়াইলের মির্জাপুর ইউনাইটেড ডিগ্রি কলেজের রাহুল দেব নামে এক কলেজছাত্রের ফেসবুক স্ট্যাটাসকে কেন্দ্র করে ওই কলেজে গত ১৮ জুন সৃষ্ট সহিংসতার সময় অধ্যক্ষ স্বপন কুমার বিশ্বাসের গলায় জুতার মালা দেয়াসহ সংঘটিত নানা অপরাধের মামলায় সদর থানা পুলিশ ৩ জুলাই রাতে যশোর থেকে নুরুন্নবীকে আটক করে। পরদিন ৪ জুলাই তাকে আদালতে সোপর্দ করে মামলার তদন্ত কর্মকর্তা ৫ দিনের রিমান্ড আবেদন করলে আদালত ৬ জুলাই এ বিষয়ে শুনানির দিন ধার্য করেন।

বুধবার শুনানির ধার্য দিনে পুলিশ কড়া নিরাপত্তার মধ্য দিয়ে আসামিকে জেলহাজত থেকে আদালতে হাজির করলে আসামির উপস্থিতিতে রাষ্ট্র ও আসামিপক্ষের শুনানি পর্যালোচনা শেষে আদালত তিন দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করে আজ থেকেই তা কার্যকরের আদেশ দেন।

গত ১৮ জুন   নূপুর শর্মার পক্ষে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে স্টাটাস দেওয়ার হুজুগে নড়াইলে মীর্জাপুর ডিগ্রী কলেজের অধ্যক্ষ স্বপন কুমার বিশ্বাস এবং একই কলেজের রাহুল নামের এক  হিন্দু  শিক্ষার্থীকে  আইন শৃঙ্খলা বাহিনীর উপস্থিতিতে  মারধর এবং গলায় জুতার মালা পরিয়ে লাঞ্ছিত করে তৌহীদী জনতার ব্যানারে একদল উগ্রপন্থী মুসলমান।  পরবর্তীতে অজ্ঞাত ১৭০ থেকে ১৮০ জনের বিরুদ্ধে পুলিশ বাদী হয়ে মামলা করে এবং ভিডিও ফুটেজ দেখে জড়িতদের শনাক্তের কাজ চলছে বলে মিডিয়াকে জানিয়েছে।

 

উল্লেখ্য, গত কয়েক বছর ধরে ইসলাম ধর্ম অবমাননা এবং ধর্মানুভুতিতে আঘাতের গুজব ছড়িয়ে  উগ্রপন্থী ও ধর্মান্ধ মুসলমানদের একটি চক্র হিন্দু ধর্মাবলম্বীদের উপর  নির্যাতন,  লাঞ্ছিত, সাম্প্রদায়িক সহিংসতার ঘটনা ঘটিয়ে যাচ্ছে।  সংখ্যালঘু অধিকার কর্মীদের অভিযোগ,  বিচারহীনতার সংস্কৃতি এবং রাষ্ট্রের ধর্মীয় উগ্রবাদ তোষণের কারণে এ ধরনের ন্যাক্কারজনক ঘটনার পুনরাবৃত্তি হচ্ছে।


Link copied