প্রেমের প্রস্তাবে রাজি না হওয়ায় স্কুল ছাত্রীকে কুপিয়ে হত্যা

Anweshan Desk

Anweshan Desk

০২ মে ২০২৩, ১৪:৩০ পিএম


প্রেমের প্রস্তাবে রাজি না হওয়ায় স্কুল ছাত্রীকে কুপিয়ে হত্যা

নিহত মুক্তি রাণী বর্মন

নেত্রকোনার বারহাট্টা উপজেলায় মুক্তি রাণী বর্মণ (১৬) নামের এক ছাত্রীকে স্কুল থেকে ফেরার পথে কুপিয়ে হত্যা করেছে এক বখাটে। আজ মঙ্গলবার বিকেল পাঁচটার দিকে ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হলে চিকিৎসকেরা তাকে মৃত ঘোষণা করেন।

নিহত মুক্তি উপজেলার প্রেমনগর গ্রামের নিখিল বর্মণের মেয়ে এবং প্রেমনগর ছালিপুরা উচ্চবিদ্যালয়ের দশম শ্রেণির শিক্ষার্থী ছিল। আর অভিযুক্ত কাউছার মিয়া  (২১) একই গ্রামের সামছু মিয়ার ছেলে।

নিহত মুক্তির চাচা লিটন বর্মণ বলেন, বিদ্যালয়ে যাওয়া-আসার পথে তার ভাতিজিকে দীর্ঘদিন ধরে উত্ত্যক্ত করছিলেন কাউছার। বিষয়টি তার পরিবারকেও জানানো হয়েছিল। আজ বিদ্যালয় থেকে ফেরার পথে মুক্তিকে কুপিয়ে আহত করেন কাউছার। পরে তাকে উদ্ধার করে বারহাট্টা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে সেখানে প্রাথমিক চিকিৎসা শেষে চিকিৎসকেরা নেত্রকোনা আধুনিক সদর হাসপাতালে পাঠান। সেখান থেকে ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়ার পর তাকে মৃত ঘোষণা করা হয়।

কাউছার মুক্তি রানীকে উত্ত্যক্ত করতেন বলে দাবি করেছেন মুক্তির বড় বোন রুজিনা রানী বর্মন। তিনি বলেন, 'কাউছার আমাকেও উত্ত্যক্ত করত। তার হুমকির কারণে পঞ্চম শ্রেণি পাসের পর আমি নেত্রকোনা আদর্শ উচ্চ বিদ্যালয়ে ভর্তি হই। আমি কাউছারের বাবা শামছুর কাছে বিচার দিয়েছিলাম, কাজ হয় নাই। আমি চলে যাওয়ার পর থেকে আমার বোনকে উত্ত্যক্ত করতে শুরু করে। কথা না মানায় কাউছার আমার বোনকে খুন করছে। আমি এর বিচার চাই।'

মুক্তির সহপাঠীরা জানায়, আজ বেলা পৌনে তিনটার দিকে বিদ্যালয় থেকে তারা একসঙ্গে বাড়িতে ফিরছিল। বিদ্যালয়ের প্রায় দুই কিলোমিটার দূরে ছালিপুরা এলাকায় পৌঁছানোর পর হঠাৎ কাউছার দা দিয়ে মুক্তিকে কোপাতে শুরু করে। এ সময় তারা ভয় পেয়ে দৌড় দেয় এবং চিৎকার করতে শুরু করে। স্থানীয় লোকজন ছুটে এসে মুক্তিকে উদ্ধার করে বারহাট্টা হাসপাতালে নিয়ে যান।

প্রেমনগর ছালিপুরা উচ্চবিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক আবুল খায়ের আকন্দ বলেন, মুক্তির পরিবার খুবই দরিদ্র। মেয়েটি শান্ত ও মেধাবী ছিল। সে মানবিক শাখার ছাত্রী ছিল। বিষয়টি খুবই মর্মান্তিক। আমরা বখাটে তরুণকে দ্রুত গ্রেপ্তার করে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানাই।

বারহাট্টা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা খোকন কুমার সাহা বলেন, অভিযুক্তকে গ্রেপ্তারে পুলিশ বিভিন্ন জায়গায় অভিযান চালাচ্ছে। আর নিহতের লাশ ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজের মর্গে রাখা হয়েছে।

মানবাধিকার থেকে আরও


Link copied