বাল্যবিবাহের কারণে জীবন দিতে হলো কিশোরীর

Anweshan Desk

Anweshan Desk

৩০ মার্চ ২০২৩, ০০:০৩ এএম


বাল্যবিবাহের কারণে জীবন দিতে হলো কিশোরীর

প্রতীকী ছবি

পারিবারিক নির্যাতন সহ্য করতে না পেরে গাইবান্ধার সাঘাটা উপজেলায় শিলা আক্তার (১৬) নামের এক কিশোরী কীটনাশক খেয়ে আত্মহত্যা করেছে। শিলা আক্তার কচুয়া ইউনিয়নের চন্দনপাট গামের শহিদুল ইসলামের মেয়ে।

বুধবার ভোর রাতে উপজেলার কচুয়া ইউনিয়নের চন্দনপাট গ্রামে এঘটনা ঘটে। সাঘাটা থানার ( ডিউটি অফিসার) এসআই শাজাহান আলী বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

স্থানীয়রা জানায় , সাঘাটা উপজেলার কামালের পাড়া ইউনিয়নের ওসমানের পাড়া গ্রামের আব্দুল বারীর ছেলে আপেল মাহমুদের সাথে কচুয়া ইউনিয়নের চন্দনপাট গ্রামের শহিদুল ইসলামের স্কুল পড়ুয়া মেয়ে শিলা আক্তারের সাথে বছর তিন আগে বিয়ে হয়। বিয়েতে শিলা রাজি না থাকলেও পরিবারের চাপে সম্মতি দিতে বাধ্য হয়। কম বয়সে বিয়ের ফলে সংসারে বিভিন্ন কাজ কর্ম নিয়ে পারিবারিক দ্বন্দের ফলে কিছু দিন আগে তালাক হয় । তালাকের পর থেকে বাবার বাড়ি থেকেও মানসিক নির্যাতন শুরু হয় । এসব নির্যাতন সহ্য করতে না পেরে  আত্নহত্যা  করে। সকালে পরিবারের অন্য সদস্যরা ঘরে গিয়ে মৃত অবস্থায় দেখতে পায়।

স্থানীয় একাধিক ব্যাক্তি নাম প্রকাশ না করার শর্তে  জানান, মেয়েটিকে পারিবারিকভাবে নির্যাতন করা হতো । নির্যাতন সহ্য করতে না পেরে মেয়েটি আত্নহত্যা   করছে। আত্নহত্যার বিষয়ে শিলার পরিবার জানান, “বিষয়টি স্থানীয় ভাবে মিমাংশা করা হয়েছে , প্রশাসন লাশটি দাফন-কাফনের অনুমতি দিয়েছে।”

আত্মহত্যা বিষয়ে শিলার পরিবার জানান, “বিষয়টি স্থানীয় ভাবে মিমাংসা করা হয়েছে , প্রশাসন লাশটি দাফন-কাফনের অনুমতি দিয়েছে।”সাঘাটা থানার ( ডিউটি অফিসার) এসআই শাজাহান আলী জানান, বিষয়টি নিয়ে লিখিত অভিযোগ হয়েছে। ওসি স্যার সরেজমিনে তদন্ত করতে যাবেন।

এবিষয়ে  সাঘাটা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. রাজু মিয়া বলেন, ‘আমি এখনো ঘটনাস্থলে আছি। মেয়েটি গ্যাস ট্যাবলেট খেয়ে আত্মহত্যা করেছে। আশপাশের গণমান্য ব্যক্তি, পরিবারসহ কারও কোনো অভিযোগ না থাকার কারণে বিনা ময়নাতদন্তে লাশ দাফনের অনুমতি দেওয়া হয়েছে।'

মানবাধিকার থেকে আরও


Link copied