মাদ্রাসা ছাত্রীকে দল বেঁধে ধর্ষণ : ইমাম এবং মাদ্রাসা শিক্ষকসহ গ্রেফতার ৩

Anweshan Desk

Anweshan Desk

২৮ নভেম্বর ২০২২, ২০:৪৮ পিএম


মাদ্রাসা ছাত্রীকে দল বেঁধে ধর্ষণ : ইমাম এবং মাদ্রাসা শিক্ষকসহ গ্রেফতার ৩

পুলিশের হাতে গ্রেপ্তার মামলার তিন আসামি। ছবি : bdnews24.com

বরিশালে মসজিদের ইমাম, মাদ্রাসার শিক্ষক ও এক কলেজ ছাত্র মিলে পরিকল্পনা করে মাদ্রাসা ছাত্রীকে দলবেঁধে ধর্ষণ করেন। ধর্ষণের পর ভিডিও করে তা সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে দেওয়ার হুমকি দিয়ে ওই মাদ্রাসা ছাত্রীকে একই বাসায় নিয়ে আসামিরা একাধিকবার ধর্ষণ করে আসছেন এবং এরপর মোটা অংকের টাকা দাবি করেন।

উক্ত ঘটনায় গত রোববার ১৭ বছর বসয়ী ওই মাদ্রাসা ছাত্রীর মা নগরীর বিমানবন্দর থানায় মামলা ওই তিনজনকে আসামী করে মামলা দায়ের করেন।

রোববার মামলার পর গভীর রাতে বিভিন্ন স্থানে অভিযান চালিয়ে ওই তিনজনকে গ্রেপ্তার করা হয় বলে মহানগর পুলিশের বিমানবন্দর থানার ওসি মো. হেলাল উদ্দিন জানান। 

একই থানার পরিদর্শক (তদন্ত) মো. আমানুল্লাহ বারী জানান, গ্রেপ্তাররা হলেন জেলার বাবুগঞ্জ উপজেলার গাঙ্গুলী বাড়ি মোড় এলাকার বাইতুল মামুর জামে মসজিদের ইমাম আবু সাইম হাওলাদার (২১), বরিশাল নগরীর রূপাতলী উকিল বাড়ি সড়কের জামিয়া কাসিমিয়া মাদ্রাসার শিক্ষক আবিদ হাসান ওরফে রাজু (২১) এবং বরিশাল সরকারি ব্রজমোহন (বিএম) কলেজের ছাত্র হৃদয় ফকির (২২)। 

“মামলার তিন আসামি আলাদা এলাকার বাসিন্দা হলেও একই বাসায় ভাড়া থাকতেন। সেই সূত্রে পরিচয় এবং ঘটনার সময় পরস্পরের সঙ্গে যোগাযোগ করে একই বাসায় মিলিত হয়ে অপরাধ সংগঠিত করেন বলে তাদের প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে জানা গেছে।” 

 

মামলার নথির বরাতে ওসি জানান, একই এলাকার (বাবুগঞ্জ) ২০ বছর বয়সী এক যুবকের সঙ্গে পারিবারিকভাবে ওই মাদ্রাসা ছাত্রীর বিয়ে ঠিক হয়। বিষয়টি সাইম, আবিদ ও হৃদয় (ওই যুবকের তিন বন্ধু) জানতে পারে। 

গত ২০ অগাস্ট কলেজ ছাত্র হৃদয় ওই ছাত্রীর মোবাইলে ফোন দিয়ে জানান, তার বন্ধুর সঙ্গে অন্য মেয়ের সম্পর্ক আছে। হবু বরের বিষয়ে মসজিদের ওই ইমাম এবং মাদ্রাসা শিক্ষকের কাছ থেকে একই কথা শুনে বিশ্বাস করেন মাদ্রাসা ছাত্রী। 

তারা আরও জানান, ২৭ অগাস্ট নগরীর ২৮ নম্বর ওয়ার্ডের শের-ই-বাংলা সড়ক ডা. হামিদ লেনের হৃদয় ফকিরের ভাড়া বাসায় অন্য মেয়ে নিয়ে যাবেন ওই যুবক। হাতে-নাতে ধরার জন্য মাদ্রাসা ছাত্রীটিকে সেখানে যেতে বলেন আসামিরা।

তাদের কথা মত মেয়েটি সেদিন সকালে হৃদয়ের বাসায় যান। ঠিক তখনই তাকে বাসায় আটকে রেখে তিন জনেই পালাক্রমে ধর্ষণ করেন এবং মোবাইলে ভিডিও করে রাখেন। 

মামলার এজাহারে আরও বলা হয়, এরপর ধর্ষণের ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে দেওয়ার হুমকি দিয়ে ওই মাদ্রাসা ছাত্রীকে একই বাসায় নিয়ে আসামিরা একাধিকবার ধর্ষণ করেন। এমনকি, ভিডিও ছড়িয়ে দেওয়ার হুমকি দিয়ে মেয়েটির কাছে টাকাও দাবি করেন। 

টাকা দিতে অপারগতা প্রকাশ করলে আসামিরা তাদের ধর্ষণের ভিডিও মেয়েটির হবু স্বামীর বাবাকে দেখান। 

এরপর হবু স্বামীর সহায়তায় রোববার ওই ছাত্রীর মা থানায় মামলা করেন।


Link copied