কটূক্তি এবং ধর্ম অবমাননার অভিযোগে আটক হওয়া স্কুল পরিচালকের বিরুদ্ধে মামলা

Anweshan Desk

মানবাধিকার ডেস্ক

১৬ জুন ২০২২, ১৯:০৭ পিএম


কটূক্তি এবং ধর্ম অবমাননার অভিযোগে আটক হওয়া স্কুল পরিচালকের বিরুদ্ধে মামলা

গাইবান্ধার সাদুল্লাপুর উপজেলার নলডাঙ্গায় ইসলাম ধর্মের প্রবর্তক নবী মোহাম্মদকে নিয়ে কটূক্তি এবং ইসলাম ধর্ম অবমাননার অভিযোগে স্থানীয় উগ্রপন্থীদের হাতে লাঞ্ছিত হওয়া সোনার বাংলা বিদ্যা পিঠের পরিচালক সুলতান আরিফিনের বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে।

 

 বৃহস্পতিবার (১৬ জুন) দুপুরে সাদুল্লাপুর থানায় এ মামলা হয়।

মামলার বিষয়টি নিশ্চিত করে সাদুল্লাপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) প্রদীপ কুমার জানান, 'বাংলাদেশ দণ্ডবিধি আইনের ২৯৫ এর ক ধারা মোতাবেক ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাত হানা ও বিশ্বাস ভঙ্গ করায় সুলতান আরিফিনের বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে। বিকেলে আদালতের মাধ্যমে তাকে জেলা কারাগরে পাঠানো হবে'।

উল্লেখ, গত বুধবার (১৫ জুন)  নবী মোহাম্মদকে নিয়ে কটূক্তি এবং ইসলাম ধর্ম অবমাননার অভিযোগ তুলে  স্কুল পরিচালক  সুলতান আরিফিনকে লাঞ্ছিত করে পুলিশে হাতে তুলে দেয় স্থানীয় উগ্রপন্থী মুসলমানদের একটি চক্র। পরে সাদুল্লাপুর উপজেলার নলডাঙ্গা ইউনিয়ন পরিষদ সংলগ্ন বাজারস্থ বাসা থেকে তাকে আটক করে থানায় নিয়ে আসে পুলিশ। এর আগে সুলতান আরিফিনকে ঘেরাও করে রাখে উগ্রপন্থী মুসল্লিরা। তারা সুলতানের ফাঁসীর দাবিতে বিক্ষোভ করে ডিগ্রি কলেজ সড়ক অবরোধ করে। পরিস্থিতি উত্তপ্ত হওয়ায় বন্ধ হয়ে যায় আশপাশের দোকানপাট। 

জানা যায়, কয়েক দিন ধরে আরিফিন হযরত মুহাম্মদ (সা.) কে কটূক্তি এবং ইসলাম বিরোধী সমালোচনাসহ অবমাননাকর কথা বলছিলেন। এ নিয়ে মুসল্লিসহ অনেকে প্রতিবাদ করলেও আরিফিন তাতে কর্ণপাত করেননি। বিষয়টি নিয়ে স্থানীয়দের মাঝে ক্ষোভ ও উত্তেজনা দেখা দেয়। বুধবার দুপুরে স্থানীয় লোকজন আরিফিনের সঙ্গে কথা বলতে তার বাসায় যায়। এ সময় নিজের মন্তব্য-ব্যাখা সঠিক বলে তর্কে জড়ান তিনি। পরে খবর পেয়ে আশপাশের লোকজন বিক্ষুব্ধ হয়ে তার বাড়ি ঘেরাও করে।  

কয়েকদিন ধরে আরিফিন হযরত মুহাম্মদকে  কটূক্তি এবং ইসলাম বিরোধী সমালোচনাসহ অবমাননাকর কথা বলেন অভিযোগ তোলা হয়।  বিষয়টি নিয়ে স্থানীয় মুসলমানদের মাঝে ক্ষোভ ও উত্তেজনা দেখা দেয়। বুধবার দুপুরে স্থানীয় কয়েকজন ধর্মান্ধ মুসল্লি আরিফিনের সঙ্গে কথা বলতে তার বাসায় যায়। এসময় নিজের মন্তব্য-ব্যাখ্যা সঠিক বলে তর্কে জড়ায় আরিফিন। পরে খবর পেয়ে আশপাশের লোকজন বিক্ষুদ্ধ হয়ে তার বাসা ঘেরাও করে।   এ ঘটনার প্রতিবাদ জানিয়ে অভিযুক্ত আরিফিনের কঠোর শাস্তির দাবি করেন তারা। পরে তাঁকে শারীরিকভাবে লাঞ্ছিত করে পুলিশের হাতে তুলে দেয় উগ্রপন্থিরা। 

 

মানবাধিকার থেকে আরও


Link copied