নড়াইলের ঘটনা রাষ্ট্রের জন্যে লজ্জার আখ্যা দিয়ে সংখ্যালঘু সুরক্ষা আইন তৈরির দাবি ইনুর

Anweshan Desk

জাতীয় ডেস্ক

২২ জুলাই ২০২২, ২০:২৮ পিএম


নড়াইলের ঘটনা রাষ্ট্রের জন্যে লজ্জার আখ্যা দিয়ে সংখ্যালঘু সুরক্ষা আইন তৈরির দাবি ইনুর

সংখ্যালঘু কমিশন এবং সংখ্যালঘু সুরক্ষা আইন তৈরির তাগিদ দিলেন ১৪ দলের অন্যতম নেতা ও জাসদ সভাপতি হাসানুল হক ইনু।  শুক্রবার (২২ জুলাই) নড়াইলের দিঘলিয়ায় রাধা গোবিন্দ মন্দির পরিদর্শনে গিয়ে তিনি এ দাবি করেন। 

 

 

ইনু বলেন, নড়াইলের ঘটনা জাতির জন্য, রাষ্ট্রের জন্যে লজ্জার। বারবার হামলা ঘটে কেবল প্রশাসনের গাফিলতির কারণে, অপরাধীদের সাজা না দেওয়ার কারণে।যদি প্রশাসন তদন্ত করে সাজা দিতে পারত তাহলে আর এ ধরনের হামলা হতো না। এই হামলা করেছে সাম্প্রদায়িক জঙ্গিগোষ্ঠী। তবে পরিস্থিতি জটিল করেছে আমাদের ঘরের লোকেরা। ঘরের ভিতর কিছু অধঃপতন ঘটেছে।

তিনি অভিযোগ করে বলেন, প্রশাসনের ভেতরে ঘাপটি মেরে থাকা সাম্প্রদায়িক চক্র উদ্দেশ্যমূলকভাবে ষড়যন্ত্র করছে এবং অন্তর্ঘাত হচ্ছে। যার জন্য প্রতিটা ঘটনায় আমরা দেখেছি তারা যথাসময়ে হাজির হচ্ছে না, যথা সময়ে পদক্ষেপ নিচ্ছে না। আসামি ধরলেও এমনভাবে চার্জশিট করছে যেন মামলা থেকে তারা বেরিয়ে যেতে পারে। তাই প্রশাসনের পিয়ন থেকে মন্ত্রী পর্যন্ত কনস্টেবল থেকে আইজিপি পর্যন্ত প্রত্যেককে অসাম্প্রদায়িক হতে হবে।

 

এদিন দুপুরে দিঘলিয়ায় রাধা গোবিন্দ মন্দিরে ১৪ দল নেতারা উপস্থিত হয়ে বক্তব্য রাখেন আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য মোফাজ্জল হোসেন চৌধুরী মায়া। তিনি প্রশাসনের উদ্দেশ্যে বলেন, আপনারা প্রকৃত দোষী ব্যক্তিদের খুঁজে বের করুন এবং আইনের আওতায় আনুন। আর কোনো সাম্প্রদায়িক শক্তি যেন সংখ্যালঘু ভাইদের ওপর হাত তুলতে না পারে সে জন্য ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করতে হবে।

 

এ সময় বক্তব্য রাখেন আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক এস এম কামাল হোসেন, বন ও পরিবেশ সম্পাদক দেলোয়ার হোসেন, জাসদের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুর রহমান চুন্নু, জাতীয় শ্রমিক জোটের সভাপতি সাইফুজ্জামান বাদশা, সাম্যবাদী দলের সাধারণ সম্পাদক দিলীপ বড়ুয়া, ওয়ার্কার্স পার্টির কেন্দ্রীয় সাধারণ সম্পাদক ফজলে হোসেন বাদশা এমপি, গণআজাদী লীগের এস কে সিকদার, কমিউনিস্ট কেন্দ্রের অসিত বরণ রায়, জাপার কেন্দ্রীয় নেতা মুক্তার হোসেন, বাসদের কেন্দ্রীয় নেতা রেজাউর রশীদ খান রেজা, তরিকত ফেডারেশনের কেন্দ্রীয় নেতা মুহাম্মদ আলী ফারুকী, স্থানীয় আ .লীগ, জাসদ এবং ওয়ার্কার্স পার্টির নেতৃবৃন্দ।

পরে ১৪ দলের পক্ষ থেকে সাহাপাড়ার ক্ষতিগ্রস্ত ৪টি মন্দিরে ২৫ হাজার টাকা করে এবং ১০টি পরিবার ও ক্ষতিগ্রস্ত ব্যবসায়ীকে ১০ হাজার টাকা করে প্রদান করা হয়।

জাতীয় থেকে আরও


Link copied