নীলফামারীতে হিন্দু ধর্মালম্বীকে জোর করে গরুর মাংস খাওয়ানোর অভিযোগ, প্রকাশ করলে হত্যার হুমকি

Anweshan Desk

জাতীয় ডেস্ক

১৩ জুলাই ২০২২, ১৬:১৬ পিএম


নীলফামারীতে হিন্দু ধর্মালম্বীকে জোর করে গরুর মাংস খাওয়ানোর অভিযোগ, প্রকাশ করলে হত্যার হুমকি

নীলফামারী জেলার কিশোরগঞ্জ উপজেলায় এক হিন্দু সম্প্রদায়ের ব্যক্তিকে জোর করে গরুর মাংস খাওয়ানোর অভিযোগ পাওয়া গেছে স্থানীয় দুই মুসলমান উগ্রপন্থীর বিরুদ্ধে। গত ১০ জুলাই উপজেলার বাহাগীলি ইউনিয়নে এ ঘটনা ঘটে। অভিযুক্ত দুই মুসলমান ব্যক্তির নাম  মোঃ আব্দুর রহিম (৩০) ও  মোঃ লেবু (৫৫), এদের দুজনের বাড়ি রংপুর জেলার  তারাগঞ্জ উপজেলায়। এ ঘটনায় ভিক্টিমের স্ত্রী মমতা রানী রায় (৩৫)  তারাগঞ্জ থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন। 

 

অভিযোগ পত্র এবং স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, গত ১০ জুলাই বিকালে  ভিক্টিম গোবিন্দ্র চন্দ্র বর্মনকে মোবাইলে ফোন করে স্থানীয় একটি মুড়ির মিলে যেতে বলে মোঃ আব্দুর রহিম। তিনি সেখানে উপস্থিত হলে,  আব্দুর রহিম ও মোঃ লেবু মিয়া মিলে জোর গোবিন্দ্র চন্দ্রকে গরুর মাংস খাইয়ে দেয়। এ সময়ে আসামীরা বলেন, 'গরুর দুধ খাও, গরুর মাংস খাইলে কি হবে, এবং আমার মিলে চাকুরী করিলে গরুর মাংস খাইতে হবে।' এরপর তাঁকে বাড়ি পাঠিয়ে দেয়া হয়।

ভিক্টিমের স্ত্রী জানিয়েছেন, এ ঘটনার পর বাড়ি ফিরে তাঁর স্বামী বমি করতে থাকেন এবং কিছু সময়ের মধ্যে অসুস্থ হয়ে পড়েন। পরবর্তীতে অভিযুক্তরা ভিক্টিমের বাড়িতে এসে কিছু টাকা দিয়ে এ ঘটনা প্রকাশ করতে নিষেধ করেন এবং কাউকে জানালে গোবিন্দ্র চন্দ্রকে মিলের বয়লারে পুরে হত্যা করা হবে বলে হুমকি দিয়ে যান। 

পরে স্থানীয়দের সাথে পরামর্শ করে ভিক্টিমের স্ত্রী মমতা রানী রায় অফিসার ইনচার্জ তারাগঞ্জ থানা, রংপুর বরাবর লিখিত অভিযোগ দায়ের করে বিষয়টি তদন্তপূর্বক আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণের আবেদন করেন। 

 উল্লেখ্য, দীর্ঘদিন ধরে দেশে সংখ্যাগরিষ্ঠ মুসলমানদের হাতে নানা ধরণের হয়রানী, নির্যাতন ও  নিপীড়নের শিকার হচ্ছেন ধর্মীয় সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের মানুষেরা। বিচারহীনতার সংস্কৃতি, রাষ্ট্রের মৌলবাদ তোষণ, প্রশাসনের উদাসীনতার কারণেই এসব ঘটনাগুলো ধারাবাহিকভাবে ঘটছে। এভাবে চলতে থাকলে শ্রীঘ্রই দেশ ধর্মীয় সংখ্যালঘু শূন্য হয়ে যাবে বলে আশংকা করছেন বিশেষজ্ঞরা।


Link copied