বঙ্গবন্ধুর খুনি নূর চৌধুরীর দেখা মিললো টরোন্টোতে
১৮ নভেম্বর ২০২৩, ২৩:০৪ পিএম
জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে নিজ হাতে গুলি করে খুন করা নূর চৌধুরীর দেখা মিললো কানাডায়। টরোন্টো থেকে মাত্র ১৩ কিলোমিটার দূরের ছোট্ট এলাকা ইটোবিকোর একটি কনডোমিনিয়ামের তিনতলায় থাকেন ৭০ বছর বয়সী নূর। দেশটির রাষ্ট্রীয় টেলিভিশন সিবিসির এক অনুসন্ধানী প্রতিবেদনে ক্যামেরাবন্দী হয়েছেন তিনি।
বাংলাদেশ সময় শনিবার (১৮ নভেম্বর) সকাল ৮টায় সিবিসি টেলিভিশিনের জনপ্রিয় অনুসন্ধানী বিভাগ ‘দ্য ফিফথথ ট’-এ ‘দ্য অ্যাসাসিন নেক্সট ডোর’ শিরোনামে ৪২ মিনিটের এই প্রতিবেদন প্রচারিত হয়।
প্রতিবেদনে নূর চৌধুরীর কানাডায় পালিয়ে যাওয়া, ২৭ বছর সেখানে থেকে যাওয়া এবং খুনের অভিযোগে হওয়া শাস্তি বাস্তবায়নে তাকে বাংলাদেশের ফেরত চাওয়ার বিষয়গুলো উঠে এসেছে।
সিবিসির প্রতিবেদনে টরন্টোর বাসার ব্যালকনিতে নূর চৌধুরীকে এক ঝলক দেখানো হয়। গাড়ি নিয়ে বের হওয়ার সময় নূরকে ড্রাইভিং সিটে বসে থাকা অবস্থায় দেখা যায়। প্রতিবেদক কথা বলার চেষ্টা করলে কথা না বলেই দ্রুত গাড়ি চালিয়ে পালিয়ে যান তিনি।
কানাডায় নিযুক্ত বাংলাদেশের হাইকমিশনার বলেছেন, এই একটি ইস্যু বাদে কানাডার সঙ্গে বাংলাদেশের সম্পর্ক বন্ধুত্বপূর্ণ। কেবল বাংলাদেশি হাইকমিশনার হিসেবে নয়, বাংলাদেশের সাধারণ মানুষ হিসেবে আমি চাই তাকে বাংলাদেশে ফেরত পাঠানো হোক।
বঙ্গবন্ধুকে নিজ হাতে গুলি করে হত্যার পর কূটনৈতিক হিসেবে পৃথিবীর বিভিন্ন দেশের দায়িত্ব পালন করেন নূর চৌধুরী। ১৯৯৬ সালে বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনা ক্ষমতায় এলে তিনি টুরিস্ট ভিসায় পালিয়ে প্রথমত আমেরিকা এবং তারপর চলে যান কানাডায়। ১৯৯৯ সালে কানাডায় রাজনৈতিক আশ্রয় চাইলে কানাডার আদালত তা নাকচ করে এবং আপিলেও তিনি হেরে যান।
২০০৯ সালে কানাডা থেকে নূরকে বের করে দেওয়ার নির্দেশ দেয় কানাডার সর্বোচ্চ আদালত। কিন্তু বাংলাদেশে পাঠালে তার মৃত্যুদণ্ড কার্যকর হতে পারে এই হুমকি দেখিয়ে ২০১০ সালে কানাডার সরকারের কাছে 'প্রি রিমুভাল রিস্ক এসেসমেন্টের' আবেদন করে নূর। যেহেতু কানাডা মৃত্যুদন্ড সমর্থন করে না, সেহেতু এই সুযোগকে কাজে লাগিয়ে ১৪ বছর ধরে কানাডায় মুক্ত জীবন যাপন করছেন নূর।