টাঙ্গাইলে আ.লীগ নেতার বিরুদ্ধে ধর্ষণ মামলা করা নারীর ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধার

Anweshan Desk

স্থানীয় প্রতিবেদক

১৮ নভেম্বর ২০২৩, ২১:১৯ পিএম


টাঙ্গাইলে আ.লীগ নেতার  বিরুদ্ধে ধর্ষণ মামলা করা নারীর ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধার

ছবি : গোলাম কিবরিয়া ওরফে বড় মনির

টাঙ্গাইলে আওয়ামী লীগ নেতা গোলাম কিবরিয়া ওরফে বড় মনিরের বিরুদ্ধে দায়ের করা ধর্ষণ মামলার বাদি এশা মির্জার ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। শনিবার (১৮ নভেম্বর) বিকেলে শহরের বোয়ালী এলাকার থেকে তার লাশ উদ্ধার করা হয়। এশা মির্জা ওই এলাকার পুলিশ সদস্য মৃত লতিফ মির্জার মেয়ে।

পুলিশ জানায়, এশা আত্মহত্যা করেছে, না তাকে হত্যা করা হয়েছে তা তদন্তে বেরিয়ে আসবে। এর আগে বড় মনিরের বিরুদ্ধে আওয়ামী লীগ নেতা আমানুর রহমান রানাকে খুনের পরিকল্পনার অভিযোগ ওঠে।

চলতি বছরের ৫ এপ্রিল রাতে টাঙ্গাইল সদর থানায় বড় মনিরের বিরুদ্ধে ধর্ষণের অভিযোগে মামলা দায়ের করেন এশা। মামলায় এশা অন্তঃসত্ত্বা হয়েছেন বলে উল্লেখ করা হয়। ওই মামলায় গ্রেপ্তার টাঙ্গাইল শহর আওয়ামী লীগের সহসভাপতি গোলাম কিবরিয়া বড় মনিরকে কারাগারে পাঠায় আদালত। 

গত ২১ আগস্ট ধর্ষণ মামলায় টাঙ্গাইল শহর আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি গোলাম কিবরিয়া ওরফে বড় মনিরের হাইকোর্টের দেয়া জামিন ৯ অক্টোবর পর্যন্ত স্থগিত থাকবে বলে আদেশ দেয় আপিল বিভাগ। এই সময়ের মধ্যে ধর্ষণের শিকার ওই নারীর গর্ভে জন্ম নেয়া নবজাতকের ডিএনএ টেস্টের রিপোর্ট দিতে নির্দেশ দেয় আদালত।

ধর্ষণের অভিযোগ আনা এশা তার সন্তানের পিতা হিসেবে বড় মনিরকে দাবি করার পর আদালতের নির্দেশে সিআইডি ডিএনএ পরীক্ষা করে। সে সময় এশা অভিযোগ করেন, বড় মনিরের স্বজনরা কোটি টাকার বিনিময়ে ডিএনএ পরিবর্তনের কথা তাকে বলেছিলো। 

ভুক্তভোগী এশা জানিয়েছিলেন, তারা বলে, ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের দ্বারা ডিএনএ রিপোর্ট পরিবর্তন করাবে, তাদের অনেক ক্ষমতা। তাদের জন্য এটা কোনো ব্যাপার না। খুন, ধর্ষণ এসব মামলা কিছুই করতে পারবে না। আমি কিছুই করতে পারবো না। জামিনে বের হলে আমাকে আর আমার বাচ্চাকে তারা মেরে ফেলবে। আর তারা নাকি জামিনে বের হবেই।    

গত ৯ অক্টোবর আপিল বিভাগে ডিএনএ টেস্ট রিপোর্ট বড় মনিরের পক্ষে আসলে কারাগার থেকে মুক্তি পায় সে। এর প্রতিবাদে নারাজির আবেদন দেয় ভুক্তভোগী এশা।     

এশা বলেছিলেন, ডিএনএ টেস্ট রিপোর্টের বিরুদ্ধে আমি আদালতে নারাজি দিয়ে এসেছি। এই রিপোর্টকে আমি গ্রহণযোগ্য মনে করি না। তদন্ত সুষ্ঠু হয়নি।  

বড় মনিরের ছোট ভাই ছোট মনিরও স্থানীয় নিক্সন হত্যায় জড়িত বলে অভিযোগ নিহতের পরিবারের। 


Link copied