পঞ্চগড়ের বোদায় মাদ্রাসা শিক্ষক কতৃক ছাত্র বলাৎকার

Anweshan Desk

Anweshan Desk

০৯ অগাস্ট ২০২৩, ০০:৩৪ এএম


পঞ্চগড়ের বোদায় মাদ্রাসা শিক্ষক কতৃক ছাত্র বলাৎকার

পঞ্চগড়ের বোদা পৌরসভার এজটি হাফেজিয়া মাদ্রাসার শিক্ষক ও মুহতামিম কতৃক বলাৎকারের শিকার হয় এক ছাত্র। অভিযোগের সত্যতা পেয়ে সোমবার (০৭ আগস্ট) রাতে ওই শিক্ষককে গ্রেফতার করে পুলিশ। মঙ্গলবার (০৮ আগস্ট) দুপুরে আদালতের মাধ্যমে তাকে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।

গ্রেফতার আল আমিন (২৯) পৌরসভার সাতখামার আল জামিয়াতুল আশরাফিয়া মহিউস সুন্নাহ হাফেজিয়া মাদ্রাসার মুহতামিম। তার বাড়ি দিনাজপুর জেলার খানসামা উপজেলার আলোকঝাড়ি ইউনিয়নে। এর আগে সোমবার সন্ধ্যায় ওই ছাত্রকে ধর্ষণের অভিযোগে শিক্ষকের বিরুদ্ধে মামলা করেছে ভুক্তভোগীর পরিবার।

মামলার এজহার ও আটোয়ারী থানা পুলিশ সূত্রে জানা যায়, ২ আগস্ট বুধবার দুপুরে ওই মাদরাসায় ছাত্রকে শরীরে তেল মেখে দেয়ার কথা বলে নিজ কক্ষে ডেকে নেন মাদরাসা শিক্ষক আল আমিন। পরে শরীরে তেলে মেখে দেয়ার একপর্যায়ে ওই কক্ষেই ছাত্রটিকে বলৎকার করেন তিনি। এ নিয়ে কাউকে কিছু জানালে কঠোর শাস্তির হুমকী দেন মাদরাসা শিক্ষক। ঘটনার পর থেকে মাদরাসাতেই ছিলো ছাত্রটি।

পরে গত ৭ আগস্ট সোমবার বিকেলে মাদরাসা থেকে পালিয়ে বাসায় চলে যায় ছাত্রটি। পরিবারের সদস্যরা হঠাৎ বাসার আসার বিষয়টি জানতে চাইলে কেঁদে ফেলে সে। পরে সে পরিবারের সদস্যদের জানায়, মাদরাসার শিক্ষক তাকে বলৎকার করেছেন। এর আগেও বেশকয়েকবার তার সাথে এ ধরনের ঘটনা ঘটিয়েছেন ওই শিক্ষক। সোমবার সন্ধ্যায় বোদা পৌরসভার ১নং ওয়ার্ডের কাউন্সিলর আরিফুর রহমানের বাসায় মাদরাসা শিক্ষক আল আমিনকে ডেকে নেয়া হলে তিনি বলৎকারের বিষয়টি স্বীকার করেন। পরে ওই মাদরাসা শিক্ষককে পুলিশে সোপর্দ করেন স্থানীয়রা।

কাউন্সিলর আরিফুর রহমান বলেন, ‘বাসায় ডেকে আনার পর ওই ছাত্রকে ধর্ষণের কথা স্বীকার করেছে শিক্ষক আল আমিন। পরে ছাত্রের পরিবারের উপস্থিতিতে ওই শিক্ষককে পুলিশের কাছে সোপর্দ করা হয়।’

আটোয়ারী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সোহেল রানা বলেন, 'অসামী ধর্ষণের কথা শিকার করেছে। তার বিরুদ্ধে ভুক্তভোগীর পরিবার ধর্ষণের মামলা করেছে এবং তাকে গ্রেফতার করে আআদালতের মাধ্যমে কারগারে পাঠানো হয়েছে। 


Link copied