বাংলাদেশে ফের দূতাবাস চালু করতে চায় আর্জেন্টিনা
১২ ডিসেম্বর ২০২২, ১৪:৪১ পিএম

আর্জেন্টিনার পররাষ্ট্রমন্ত্রী সান্তিয়াগো কাফিয়েরো এবং পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ কে আব্দুল মোমেন।
বাংলাদেশে ১৯৭৮ সাল থেকে বন্ধ থাকা আর্জেন্টিনার দূতাবাস পুনরায় চালু করতে চায় দক্ষিণ আমেরিকার দেশটি।
এক প্রতিবেদনে দক্ষিণ আটলান্টিকের বার্তা সংস্থা দ্য মেরকো প্রেস জানিয়েছে, কাতারে চলমান বিশ্বকাপ ফুটবলে মেসির দলের প্রতি বাংলাদেশিদের সমর্থনের বিষয়টি এই পরিকল্পনা বাস্তবায়নে জোর হাওয়া দিতে পারে।
চলমান বিশ্বকাপে মেক্সিকোর বিপক্ষে মেসির গোলের পর উল্লাসরত বাংলাদেশি সমর্থকদের একটি ভিডিও ফিফার অফিসিয়াল টুইটার অ্যাকাউন্টে পোস্ট করার পর তা বহির্বিশ্বের নজর কাড়ে। ভিডিওটি দ্রুত সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ে। আর্জেন্টিনার বিভিন্ন গণমাধ্যমেও ঘটনাটি ফলাও করে প্রচার করা হয়। পরে আর্জেন্টিনার জাতীয় ফুটবল দলের অফিসিয়াল টুইটার অ্যাকাউন্ট থেকে বাংলাদেশ সম্পর্কে টুইট করে বলা হয়, 'আমাদের দলকে সমর্থন করার জন্য আপনাদের ধন্যবাদ! ওরা (বাংলাদেশিরা) আমাদের মতোই পাগল!'
এরই মধ্যে আর্জেন্টিনার বাংলাদেশ প্রেমীরা সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে বাংলাদেশকে সমর্থন করার একটি গ্রুপও খুলে ফেলেন যেটার মেম্বার লক্ষ পেরিয়ে যায়। যেখানে বাংলাদেশী এবং আর্জেন্টাইনদের মধ্যে একটি মেলনবন্ধন তৈরি হয়। এছাড়াও, আর্জেন্টিনায় বাংলাদেশের সুনাম ছড়িয়ে পড়ে এবং সেখানে বাংলাদেশের পতাকার বিক্রিও শুরু হয়৷
গত শনিবার এক টুইট বার্তায় আর্জেন্টিনার পররাষ্ট্রমন্ত্রী সান্তিয়াগো কাফিয়েরো বাংলাদেশে দূতাবাস পুনরায় চালু করার পরিকল্পনার কথা জানান। স্প্যানিশ ভাষায় করা কাফিয়েরোর ওই টুইট বার্তায় তিনি বাংলাদেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ কে আব্দুল মোমেনের সঙ্গে তার একটি ছবিও জুড়ে দেন।
সেখানে তিনি বলেন, গত আগস্টে আমি আব্দুল মোমেনের সঙ্গে পারমাণবিক অস্ত্র নিষিদ্ধকরণ চুক্তি বিষয়ক একটি সম্মেলনে বৈঠক করেছি।
একই দিনে আরেক টুইট বার্তায় আর্জেন্টিনার পররাষ্ট্রমন্ত্রী উল্লেখ করেন, ২০২১ সালে বাংলাদেশে আর্জেন্টিনার রপ্তানির পরিমাণ ছিল ৮৭৬ মিলিয়ন মার্কিন ডলার, যা এ যাবাৎকালের সর্বোচ্চ।
এছাড়া বাংলাদেশে দূতবাস খোলার ব্যাপারে আর্জেন্টিনার পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ও একটি বিবৃতি জারি করেছে বলে জানায় মেরকো প্রেস।
ওই বিবৃতিতে বলা হয়, দূতাবাস এবং এর কনস্যুলার বিভাগটি পুনরায় চালু করার সঙ্গে সঙ্গে আমরা দ্বিপক্ষীয় সম্পর্কের সম্ভাবনাকে কাজে লাগাতে চাই। প্রধানত বাণিজ্যিক দিক থেকে, যা বৃদ্ধির ব্যাপক সম্ভাবনা আছে।