সেনবাগে ১০ ছাত্রকে ধর্ষণের পর পলাতক মাদ্রাসা শিক্ষক

Anweshan Desk

জাতীয় ডেস্ক

০৯ অগাস্ট ২০২২, ১৮:৩৩ পিএম


সেনবাগে ১০ ছাত্রকে ধর্ষণের পর পলাতক মাদ্রাসা শিক্ষক

নোয়াখালী জেলার সেনবাগের নবীপুর ইউনিয়নের গোপালপুর গ্রামের তা'লীমুল কুরআন মাদ্রাসার শিক্ষক আবদুল ফাত্তাহর বিরুদ্ধে মাদ্রাসার ১০ জন  ছাত্রকে ধর্ষণের অভিযোগ উঠেছে।  বিষয়টি জানাজানি হওয়ার পর পলাতক রয়েছেন অভিযুক্ত শিক্ষক। 

 

 স্থানীয়দের অভিযোগ, মাদ্রাসা পরিচালনা কমিটির সহযোগিতায় অভিযুক্ত শিক্ষককে পালিয়ে যাবার সুযোগ করে দেওয়া হয়েছে।

 শনিবার (৬ আগস্ট) সকালে এ ঘটনায় ভুক্তভোগী পরিবারগুলো নিয়ে তা’লীমুল কুরআন মাদ্রাসায় একটি সালিশী বৈঠক বসে। বৈঠকে শিক্ষকের বিরুদ্ধে আনীত অভিযোগ প্রমাণিত হয়। ওই বৈঠকে ২০-৩০ জন অভিভাবক উপস্থিত ছিলেন।  তবে অভিযুক্ত শিক্ষক বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন না। ওই বৈঠকের খবর পেয়ে গত দুইদিন অভিযুক্ত শিক্ষক আর মাদ্রাসায় আসেননি। ভুক্তভোগী অভিভাবক ও স্থানীয়রা জানায়, তা’লীমুল কুরআন মাদ্রাসার আবাসিক হলের ৮-১০ জন ছাত্রকে বিভিন্ন সময়ে মাদ্রাসার মুতামিম আবদুল ফাত্তাহ রাতে ঘুম থেকে তুলে নিয়ে যেতো। ওই সময় মোবাইল ফোন আনা-নেয়াসহ বিভিন্ন অজুহাতে তার অফিস, শয়ণ কক্ষে ডেকে নিয়ে ধর্ষন করতো শিক্ষক আবদুল ফাত্তাহ। ওই শিশু শিক্ষার্থীরা পরে বাড়ি গিয়ে মাদ্রাসায় ফিরতে অস্বীকার করলে ধর্ষণের কথা জানা যায়। 

মাদ্রাসার সভাপতি অভিযোগের সত্যতা নিশ্চিত করে জানান, "ঘটনায় একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। অভিযুক্ত শিক্ষক পালিয়েছেন। মাদ্রাসার আবাসিক বিভাগ শিগগির বন্ধ করে দেওয়া হবে।"

এ বিষয়ে মাদ্রাসার চেয়ারম্যান আলহাজ্ব হাফেজ মুহাম্মদ তৈয়ব বলেন, "অভিভাবকদের পক্ষ থেকে শিক্ষকের বিরুদ্ধে অনৈতিক কর্মকাণ্ডের অভিযোগ পেয়ে তাকে অব্যাহতি দেওয়ার হয়েছে। মাদ্রাসার পক্ষ থেকে ঘটনাগুলো তদন্ত করা হবে।"

এক শিক্ষার্থীর দাদা রমজান আলী অভিযোগ করে বলেন, "ওই লম্পট মাওলানা তার ৯ বছরের নাতিসহ কমপক্ষে ১৫ জন শিশুকে ধর্ষণ করেছেন। আমি তার শাস্তি চাই।"

সেনবাগ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ইকবাল হোসেন পাটোয়ারী  বলেন, "আমি বিষয়টি শুনেছি। ঘটনাটি অনেক আগের। ওই মাদ্রাসা শিক্ষককে অনেক আগেই অব্যাহতি দেওয়া হয়েছে। তবে ধর্ষণের ঘটনা তখন কেউ পুলিশকে জানায়নি। এ বিষয়ে এখনো কোনো অভিভাবক থানায় লিখিত অভিযোগ দেননি।"

জাতীয় থেকে আরও


Link copied