রাষ্ট্রীয় অর্থায়নে মডেল মসজিদ নির্মাণ সংবিধান পরিপন্থী : শাহরিয়ার কবির

Anweshan Desk

ডেস্ক রিপোর্ট

০৭ মার্চ ২০২৪, ১৩:৩৯ পিএম


রাষ্ট্রীয় অর্থায়নে মডেল মসজিদ নির্মাণ সংবিধান পরিপন্থী : শাহরিয়ার কবির

ছবি : শাহরিয়ার কবির

রাষ্ট্রীয় অর্থায়নে মডেল মসজিদ নির্মাণ সংবিধান পরিপন্থী বলে মন্তব্য করেছেন একাত্তরের ঘাতক দালাল নির্মূল কমিটির সভাপতি শাহরিয়ার কবির। তার ভাষ্য, ‘৫৬০টি মডেল মসজিদ বানাচ্ছে সরকার, কাদের টাকা দিয়ে? আমাদের জনগণের ট্যাক্সের টাকা দিয়ে এগুলো বানানো হচ্ছে। অথচ এটা সংবিধান পরিপন্থী। সংবিধানের ৭ এর ক ধারায় পরিষ্কারভাবে বলা হয়েছে, রাষ্ট্র কোনো বিশেষ ধর্মকে পৃষ্ঠপোষকতা করবে না। একমাত্র আমরাই এটি নিয়ে প্রতিবাদ করেছি। বাংলাদেশের কোনো সংগঠনের সাহস হয়নি এ বিষয়ে প্রতিবাদ করার৷

গতকাল বুধবার সন্ধ্যায় রংপুর পাবলিক লাইব্রেরি হল রুমে মহান স্বাধীনতার মাস মার্চে ‘সম্প্রীতির বাংলাদেশ’ শীর্ষক আলোচনা অনুষ্ঠানে মুখ্য আলোচকের বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।

দেশে বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের দুর্নীতি ও রাজনৈতিক সংগঠনগুলোর সাম্প্রদায়িকতা তুলে ধরে শাহরিয়ার কবির বলেন, ‘আপনারা দুর্নীতি নিয়ে আওয়ামী লীগকে তুলোধুনো করতে পারেন। কিন্তু আপনাদের মনে রাখতে হবে, এর চেয়েও বড় বিপদ সামনে আছে। দুর্নীতির বাইরে কোন দেশ আছে উপমহাদেশে, একটি দেশের নাম বলুন? ভারত দুর্নীতির বাইরে? পাকিস্তান দুর্নীতির বাইরে? কিন্তু যেভাবে আমাদের সমাজ রাজনীতির মৌলবাদীকরণ সাম্প্রদায়িকীকরণ হচ্ছে, এটাকে প্রতিহত করতে না পারলে বাংলাদেশ আর বাংলাদেশ থাকবে না। বাংলাদেশ পাকিস্তান হয়ে যাবে, পাকিস্তান মানে পাকিস্তানের মতো ব্যর্থ রাষ্ট্র সন্ত্রাসী রাষ্ট্র হয়ে যাবে। আমাদের উদ্বেগটা হচ্ছে সেই জায়গায়।’

নাগরিক সমাজের প্রতিনিধিদের উদ্দেশ্যে তিনি বলেন, ‘আপনারা স্বাস্থ্য নিয়ে কথা বললেন, পরিবেশ নিয়ে কথা বললেন। অনেক বিষয় নিয়ে কথা উঠে এসেছে। কিন্তু ঘাতক দালাল নির্মূল কমিটি ফোকাস করছে সংবিধানের মূল জায়গাটিতে। বাহাত্তরের সংবিধানের মূল চেতনায় আমাদের ফিরে যেতে হবে।’

শাহরিয়ার কবির আরও বলেন, ‘একাত্তরের ঘাতক দালাল নির্মূল কমিটি সংবিধানের মর্যাদা প্রতিষ্ঠার নাগরিক আন্দোলন করছে। কিন্তু এখন আমরা যে আগামীর নাগরিক আন্দোলনের কথা বলছি, তা নির্মূল কমিটির একার দায়িত্ব নয়। এর সঙ্গে যত সমমনা সামাজিক, সাংস্কৃতিক, রাজনৈতিক, পেশাজীবী সংগঠন এবং ব্যক্তি আছে সবাইকে নিয়ে আন্দোলন করতে হবে। যেখানে বিরোধী দল অনুপস্থিত থাকে সেখানে নাগরিকদের দায়িত্ব পালন করতে হয়। এটি বাংলাদেশের ক্ষেত্রে নয় সমস্ত গণতন্ত্রের ক্ষেত্রে প্রযোজ্য।’

এসময় বক্তব্য দেন বিশিষ্ট রাজনৈতিক ব্যক্তিত্ব ভাষাসৈনিক ও মুক্তিযোদ্ধা মো আফজাল, সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্ব ড. মফিজুল ইসলাম মান্টু প্রমুখ। সভায় মুক্তিযুদ্ধের চেতনার স্বপক্ষের বিভিন্ন শ্রেণি-পেশা ও সংগঠনের প্রতিনিধিরা উপস্থিত ছিলেন।


Link copied