মাদ্রাসায় ৬ ছাত্রকে বলাৎকার ও ধামাচাপা দেয়ার চেষ্টা : প্রধান শিক্ষক গ্রেফতার

Anweshan Desk

ডেস্ক রিপোর্ট

২৯ ফেব্রুয়ারী ২০২৪, ১৯:৩৯ পিএম


মাদ্রাসায় ৬ ছাত্রকে বলাৎকার ও ধামাচাপা দেয়ার চেষ্টা : প্রধান শিক্ষক গ্রেফতার

ছবি : গ্রেফতার শিক্ষক হাফেজ মাওলানা মুফতি মো. মিজানুর রহমান (৩৮)

পঞ্চগড়ের দেবীগঞ্জ উপজেলার পৌরশহরের আলহেরা মাদ্রাসায় ৬ শিক্ষার্থীকে বলাৎকারের অভিযোগে মাদ্রাসার প্রধান শিক্ষককে আটক করেছে পুলিশ। বলাৎকারের খবর জানাজানি হলে বুধবার (২৮ ফেব্রুয়ারি) রাতে অভিবাবক ও স্থানীয়রা ও ক্ষিপ্ত হয়ে মাদ্রাসায় ছুটে গিয়ে প্রতিবাদ করলে পুলিশ এসে  সেই শিক্ষককে গ্রেফতার করে।

গ্রেফতার শিক্ষক  হাফেজ মাওলানা মুফতি মো. মিজানুর রহমান (৩৮) নীলফামারীর সদর উপজেলার গোড়গ্রাম ইউনিয়নের ভবানীগঞ্জ এলাকার বাসিন্দা ও লতিফুর রহমানের ছেলে। তিনি আলহেরা মাদ্রাসায় প্রধান শিক্ষক হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন।

স্থানীয় ও পুলিশ সূত্রে জানা যায়, আলহেরা মাদ্রাসায় আবাসিক ও অনাবাসিক ব্যবস্থায় পাঠদান চালু আছে। মাদ্রাসার প্রধান শিক্ষক মিজানুর রহমানের বিরুদ্ধে মঙ্গলবার (২৭ ফেব্রুয়ারি) বলাৎকারের অভিযোগ পায় মাদ্রাসা কর্তৃপক্ষ। কিন্তু মাদ্রাসার ভাবমূর্তি রক্ষায় মাদ্রাসা কতৃপক্ষ পুলিশকে না জানিয়ে অভিযুক্ত শিক্ষককে গোপনে চাকরিচ্যুত করে। তবুও বিষয়টি এলাকায় জানাজানি হলে অভিভাবক ও স্থানীয়রা অভিযুক্ত শিক্ষকের শাস্তির দাবিতে রাত পৌনে ৮টায় মাদ্রাসায় উপস্থিত হন। মুখ খুলতে শুরু করেন একাধিক শিক্ষার্থী ও অভিভাবক। ছয় ভুক্তভোগী তাদের সাথে ঘটে যাওয়া ঘটনার বর্ণনা দেন পুলিশ ও সাংবাদিকদের কাছে। এদিকে মাদ্রাসা কর্তৃপক্ষ এটিকে আবারও ধামাচাপা দিতে মাদ্রাসা ভাঙচুরের ভুয়া অভিযোগ এনে জাতীয় জরুরি সেবা ৯৯৯-এ কল করেন। 

অভিযোগ পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে এসে জানতে পারে বলাৎকারের ঘটনা। অভিযোগ উঠেছে বলাৎকারের ঘটনা ধামাচাপা দিতে কর্তৃপক্ষ মাদ্রাসা ভাঙচুরের পরিকল্পিত অভিযোগ করেছে, যদিও মাদ্রাসায় ভাঙ্গচুরের কোনো ঘটনা ঘটেনি। বিস্তারিত জানার পর পুলিশ অভিযুক্ত শিক্ষককে গ্রেফতার করে থানায় নিয়ে যায়।

আরও অভিযোগ উঠেছে, এর আগেও এক ছাত্রকে দুই বছর আগে বলাৎকার করে একই শিক্ষক। ছাত্রদের ভয়-ভীতি দেখিয়ে ও মারধর করে তিনি এই অপকর্ম করতেন।

দেবীগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সরকার ইফতেখারুল মোকাদ্দেম বলেন, ‘ ঘটনার সত্যতা জানার পর আমরা অভিযুক্ত শিক্ষককে গ্রেফতার করেছি। তার বিরুদ্ধে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে মামলা দায়ের প্রস্তুতি চলছে।’


Link copied