শীঘ্রই মদের দোকান চালু করতে যাচ্ছে সৌদি আরব
২৪ জানুয়ারী ২০২৪, ২২:০৫ পিএম
রক্ষনশীলতা থেকে বেরিয়ে আসার প্রক্রিয়ায় আরও একটি বড় পদক্ষেপ নিলো সৌদি আরব। দেশটির রাজধানী রিয়াদে প্রথম কোন পানশালা বা মদের দোকান খোলা হচ্ছে। তবে এই পানশালায় শুধুমাত্র অমুসলিম দেশের কূটনীতিকদের কাছে অ্যালকোহল পরিবেশন করবে।
বুধবার এই পরিকল্পনার সঙ্গে জড়িত এবং তার দেখানো একটি নথির বরাতে একথা জানিয়েছে বার্তা সংস্থা রয়টার্স। নথিতে বলা হয়েছে, এই পানশালার গ্রাহকদের একটি মোবাইল অ্যাপের মাধ্যমে নিবন্ধন করতে হবে, পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় থেকে ছাড়পত্র নিতে হবে। সে সঙ্গে মাসিক বরাদ্দের মধ্যে সীমাবন্ধ থাকবে হবে।
নথিতে আরও বলা হয়েছে, পানশালাটি রিয়াদের কূটনৈতিক পাড়ায় খোলা হবে। সেখানে প্রবেশের ক্ষেত্রে কঠোরভাবে নিয়ন্ত্রণ করা হবে। সেখানে শুধুমাত্র অমুসলিম দেশের কূটনীতিকদের প্রবেশ করতে দেয়া হবে এবং তারা মাস প্রতি একটি নির্দিষ্ট পরিমাণ অ্যালকাহোলের বেশি পান করতে পারবেন না।
তবে মুসলিম দেশের কূটনীতিকরা সেই পানশালায় যেতে পারবেন কী-না, সেটি এখনো পরিস্কার করে কিছু বলা হয়নি। তারপরও এই পদক্ষেপকে সৌদি যুবরাজ মোহাম্মদ বিন সালমানের নেতৃত্বে চলমান সংস্কার প্রক্রিয়ার একটি বড় পদক্ষেপ হিসাবে দেখা হচ্ছে। দেশটির পর্যটন আইনেও বড় পরিবর্তন আনা হচ্ছে।
পানশালা খোলার পরিকল্পনার সাথে যুক্ত সূত্র জানিয়েছেন, আসছে সপ্তাহগুলোতে অ্যালকাহোল স্টোরটি খোলার আশা করা হচ্ছে। সৌদি আরবের মদ্যপানের বিরুদ্ধে কঠোর আইন রয়েছে, যার জন্য শত শত বেত্রাঘাত, নির্বাসন, জরিমানা বা কারাদণ্ড হতে পারে এবং প্রবাসীরাও নির্বাসনের মুখোমুখি হন।
রাষ্ট্র নিয়ন্ত্রিত মিডিয়া এ সপ্তাহে জানিয়েছে যে, সরকার কূটনৈতিক চালানের মধ্যে অ্যালকোহল আমদানিতে নতুন বিধিনিষেধ আরোপ করেছে, যা করে নতুন পানশালার চাহিদা বাড়িয়ে তুলতে পারে। আরব নিউজ বলছে, সৌদি আরবের কূটনৈতিক মিশনগুলো পণ্য ও অ্যালকাহোল আমদানিতে নতুন নিয়ম চালু হয়েছে।
দেশটিতে অ্যালকোহল শুধু কূটনৈতিক মেইলের মাধ্যমে বা কালোবাজারে পাওয়া যায়। সৌদি সাম্প্রতিক বছরগুলোতে কঠোর সামাজিক বিধিনিষেধ অনেকটাই শিথিল করেছে, যেমন প্রকাশ্যে পুরুষ ও নারীদের আলাদা করা এবং নারীদেরকে কালো পোশাক বা আবায়া পরতে বাধ্য করার আইন শিথিল করা হয়েছে।
সৌদি ক্রাউন প্রিন্স সালমানের অধীনে এবার আরেকটি মাইলস্টোন হতে চলেছে। ইসলামে মদপান নিষিদ্ধ হবার পরেও দেশটি বাণিজ্যিক ও পর্যটনের কারণে এ ধরনের পদক্ষেপ নিতে চলেছে। ২০৩০ সালের মধ্যে তেলভিত্তিক অর্থনীতিনির্ভরতা থেকে বেরিয়ে আসার পরিকল্পনা হাতে নিয়েছে সৌদি আরব।