কওমি মহিলা মাদ্রাসায় শিশু ছাত্রীকে ধর্ষণ : মাদ্রাসা মুহতামিম গ্রেফতার

যশোরের আবরপুরে একটি কওমি মহিলা মাদ্রাসার এক শিশু ছাত্রীকে ধর্ষণের অভিযোগে ওই মাদ্রাসার মুহতামিম (প্রধান শিক্ষক) শাহাদৎ হোসেনকে (৩৫) আটক করেছে র‌্যাব। ১৯ মার্চ রাতে ঝালকাঠির রাজাপুর উপজেলার লেবুবুনিয়া এলাকা থেকে তাকে আটক করে আনা হয়েছে বলে জানান র‌্যাব-৬ যশোর ক্যাম্পের কোম্পানি অধিনায়ক মেজর মোহাম্মদ সাকিব হোসেন।

গ্রেপ্তার প্রধান শিক্ষক শাহাদাৎ হোসেন (৩৫) ঝালকাঠি জেলার রাজাপুর উপজেলার লেবুবুনিয়া গ্রামের আব্দুল মান্নান হাওলাদারের ছেলে ও যশোর সদরের পাওয়ার হাউসপাড়া এলাকার বাসিন্দা।

মামলার অভিযোগে জানা যায়, গত ৮ মার্চ যশোরের আরবপুর এলাকার পাওয়ার হাউজপাড়া মহিলা মাদ্রাসার প্রধান শিক্ষক এক শিশু ছাত্রীকে ধর্ষণ করেন। ১২ বছরের ওই শিশু ছাত্রী ওই মাদ্রাসায় আবাসিক ভবনে থেকে লেখাপড়া করত। মাদ্রাসার প্রধান শিক্ষক তার নিজ পরিবার নিয়ে মাদ্রাসা ভবনের নিচ তলায় বসবাস করেন। আর সকল ছাত্রী একই আবাসিক ভবনের উপর তলায় থেকে লেখাপড়া করে। গত ৮ মার্চ দুপুরে মাদ্রাসার প্রধান শিক্ষক শাহাদাৎ হোসেনের স্ত্রী বাসার বাইরে থাকার সুযোগে কৌশলে ওই শিশু ছাত্রীকে বাসায় ডেকে আনে। এরপর তার রুমে আটকিয়ে ভয়ভীতি দেখিয়ে ধর্ষণ করেন। এছাড়াও কাউকে বিষয়টি জানালে তাকে হত্যার হুমকি দেন।

পরে ওই ছাত্রী বিষয়টি তার মাকে জানালে তিনি মাদ্রাসার প্রধান শিক্ষক শাহাদাৎ হোসেনের বিরুদ্ধে ১১ মার্চ যশোর কোতোয়ালি মডেল থানায় ধর্ষণ মামলা দায়ের করেন। ঘটনা জানাজানি হওয়ার পর থেকেই আসামি শাহাদাৎ হোসেন আত্মগোপন করেন।

র‌্যাব-৬ যশোর ক্যাম্পের কোম্পানি অধিনায়ক মেজর মোহাম্মদ সাকিব হোসেন আরও জানান, ধর্ষণের বিষয়টি জানতে পেরে র‌্যাব-৬, যশোর ক্যাম্পের একটি দল ওই আসামিকে গ্রেপ্তারে গোয়েন্দা নজরদারি বৃদ্ধি করে। এরপর গোপন সংবাদের ভিত্তিতে মঙ্গলবার (১৯ মার্চ) গভীর রাতে ঝালকাঠি জেলার লেবুবুনিয়া এলাকা থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়। ২০ মার্চ গ্রেপ্তারকৃত আসামিকে যশোর কোতোয়ালি মডেল থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে।