শ্যামনগরে সংখ্যালঘু আদিবাসী মুন্ডা সম্প্রদায়ের ২৩টি বাড়ী ঘরে ভাংচুর ও হামলা

Anweshan Desk

সংখ্যালঘু নির্যাতন ডেস্ক

২৬ অগাস্ট ২০২২, ১৩:৩৪ পিএম


শ্যামনগরে সংখ্যালঘু আদিবাসী মুন্ডা সম্প্রদায়ের ২৩টি বাড়ী ঘরে ভাংচুর ও হামলা

জোরপূর্বক সংখ্যালঘু আদিবাসী মুন্ডা সম্প্রদায়ের জমি দখল

সাতক্ষীরা শ্যামনগর ধুমঘাট (আন্তাখালী) এলাকায় সংখ্যালঘু আদিবাসী মুন্ডা সম্প্রদায়ের ২৩টি ঘর বাড়ী ভাংচুর ও হামলা করেছে দুর্বৃত্তরা। এছাড়াও ধারালো অস্ত্র দিয়ে নৃশংসভাবে কুপিয়ে রক্তাক্ত ও জখম করা সহ নারীদের শ্নীলতাহানী পর্যন্ত ঘটায় দুর্বৃত্তরা।

মৃত্যু শ্যামাপদ মুন্ডার পুত্র ফনিন্দ্র নাথ মুন্ডা এঘটনার বিষয়ে বাদী হয়ে শ্যামনগর থানায় ২২ জনের নাম উল্লেখসহ অজ্ঞাতনামা আরও ১৬০-১৭০ জনের বিরুদ্ধে একটি মামলা দায়ের করেন, মামলা নং ৩৮/৩৫১, তারিখ- ২০ আগস্ট ২০২২।

বাদীর এজাহার সূত্রে জানা যায় গত ১৯ আগস্ট ২০২২ সকাল অনুমান ৮ টার দিকে আসামি ১। রশিদুল, ২। এবাদুল সরদার, ৩। ফিরোজ, ৪। মকিম মহাজন, ৫। ইসলাম, ৬। রবিউল ইসলাম সহ এদের নেতৃত্বে ১৬০/১৭০ জন সন্ত্রাসী দলবদ্ধ হয়ে ধারালো অস্ত্রসস্ত্রহ, চাইনিজ কুড়াল, রামদা,হাসুয়া, লোহার রড, লোহার সাবল, বাঁশের লাঠি  ইত্যাদি নিয়ে আদিবাসীদের জমি দখল নেওয়ার জন্য তেড়ে যায়। এসময় সেখানকার সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের মানুষজন সন্ত্রাসীদের জমি দখলে  বাধা দিতে গেলে তাদেরকে কুপিয়ে রক্তাক্ত ও জখম করা হয়। এবং নারীদের পোশাক ধরে টানা হেছড়া করে শ্লীলতাহানি ঘটায় এবং স্বর্ণালংকার ছিনিয়ে নেয় ও ১০০ কেজি ধানের বীজতলা পাওয়ার টিলার দিয়ে চাষ করে নষ্ট করে ক্ষতিসাধন করে।

১নং আসামি রশিদুল হুমকি দিয়ে বলেন যে তোদেরকে এই জমি ছাড়তে হবে আর তা না হলে একদম জানে মেরে ফেলবো। আসামিদের হাতে ভারী অস্ত্রসস্ত্র থাকায় ভুক্তভোগীদের উদ্ধার করতে কেউ এগিয়ে আসার সাহস পায়নি। এসময় বাদী মোবাইল ফোনে শ্যামনগর থানার পুলিশকে খবর দিলে পুলিশ খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে আসা মাত্র আসামিরা দ্রুত ঘটনাস্থল ত্যাগ করে পালিয়ে যায়, পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন। পরে স্থানীয়দের সহযোগিতায় ভ্যান যোগে ভুক্তভোগীদের উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়, বর্তমানে তারা চিকিৎসাধীন অবস্থায় আছে। আসামিরা ইতি পূর্বে সংখ্যালঘুদের অনেক জমি দখল করে নিয়েছে।

ভুক্তভোগীরা হলো ১। বিলাশী রাণী মুন্ডা (৩৫) ২। রিনা মুন্ডা (৩৬) ৩। সুুুজাতা মুন্ডা (৩০) ৪। নরেন্দ্র নাথ মুন্ডা (৬৫)।

আসামিরা হলো উপজেলার,গ্রীফলকাটি,বংশীপুর পাতকোলা গ্রামের ১। মৃত গরুর সরদারের পুত্র রশিদুল (৪৫), ২। এবাদুল সরদার (৫০) ৩। মুনছুর আলীর পুত্র ফিরোজ (৩০) ৪। ফিরোজ মহাজনের পুত্র মকিম মহাজন (৪০) জৈনক ৫। ইসলাম (৫০) ৬। সিদ্দিক এর পুত্র রবিউল ইসলাম (৪০) ৭। আকবর আলীর পুত্র আক্কাছ আলী (৪৮) ৮। কাদের গাজীর পুত্র শোয়েব গাজী (৩৬), ৯। আলমগীর গাজীর পুত্র নূর হোসেন (২৬) ১০। তুুুলু আলীর পুত্র আদম আলী (৩০) ১১। আকবর গাজীর পুত্র আশরাফ গাজী (৪৮) ১২। ছুন্নত গাজীর পুত্র রাশিদুল (৪০), জৈনক ১৩। বাবু (২৮),জৈনক ১৪।ইস্রাফিল (২৭), জৈনক ১৫। আলমগীর (২৮), জৈনক ১৬। আকবর (২৪), জৈনক ১৭। এমদাদ (২২), জৈনক ১৮। রাশিদুল (২৯), জৈনক ১৯। ফিরোজ (৩০), জৈনক ২০। কামরুল (৩৮), ২১। গফুর গাজীর পুত্র শফিকুল গাজী (৩০), ২২। আলমগীর এর পুত্র নূর মোহাম্মদ (২২) সহ আরও অজ্ঞাতনামা ১৬০/১৭০ জন।

ধর্মীয় সংখ্যালঘু নির্যাতন থেকে আরও


Link copied