কালিয়াকৈরে গারো কিশোরীকে পিটিয়ে জোরপূর্বক বিয়ে দিলেন ইউপি সদস্য!

Anweshan Desk

ধর্মীয় সংখ্যালঘু নির্যাতন

১৩ অগাস্ট ২০২২, ২২:৪৭ পিএম


কালিয়াকৈরে গারো কিশোরীকে পিটিয়ে জোরপূর্বক বিয়ে দিলেন ইউপি সদস্য!

ইউপি সদস্য জাহাঙ্গীর আলম

গাজীপুরের কালিয়াকৈর উপজেলার শিমুলিয়া এলাকায় এক গারো কিশোরীকে (১৪) অপবাদ দিয়ে পিটিয়েছেন এক ইউপি সদস্য।

 

 ফুলবাড়ীয়া ইউনিয়ন পরিষদের ৪ নম্বর ওয়ার্ডের সদস্য মো. জাহাঙ্গীর আলম কিশোরীকে বেধড়ক পেটানোর পর জোর করে এক তরুণের সঙ্গে বিয়ে দেন। গারো কিশোরী স্থানীয় একটি বেসরকারি বিদ্যালয়ের অষ্টম শ্রেণির শিক্ষার্থী। তাকে পেটানোর ভিডিওটি এরমধ্যে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়েছে।

স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে,  গত ২৬ মে বিকেলে ঐ কিশোরীর এক মামা তাঁদের বাড়িতে আসে। সে সময় কিশোরীর মাও বাড়িতে ছিলেন।  এ সময় ইউপি সদস্য জাহাঙ্গীর সেখানে লোকজন নিয়ে আসেন। এসেই তিনি কিশোরীকে মারধর শুরু করেন। ওই তরুণের সঙ্গে জোর করে বিয়ে দিতে বাধ্য করেন। জানান, পরে বিয়ে নিবন্ধন করা হবে।

কিশোরীর বাবা একজন দিনমজুর। তিনি জানান, ঘটনার দিন তিনি বাড়িতে ছিলেন না। বলেন, '২ দিন আমার মেয়ের সঙ্গে থাকার পর ওই ছেলের কোনো খোঁজ পাওয়া যাচ্ছে না। আমার মেয়ে নাবালিকা। বিয়ের কাগজপত্রের জন্য মেম্বারের (জাহাঙ্গীর আলম) কাছে কয়েকবার আমার বউকে পাঠিয়েছি। সেটাও পাইনি।'

এ ব্যাপারে থানায় অভিযোগ করা হলেও কোনো সুরাহা হয়নি জানিয়ে অসহায় এই বাবা বলেন, 'আমরা গরিব মানুষ। একদিন কাজ না করলে ভাত জোটে না। এ অবস্থায় কার বিরুদ্ধে কথা বলব? কার বিচার চাইব? সে সাহস আমাদের নেই।'

সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়া ভিডিওটিতে দেখা গেছে, ঘরে খাটের ওপর বসে থাকা শিশুটিকে চুলের মুঠি ধরে বেধড়ক পেটাচ্ছেন জাহাঙ্গীর আলম। এ সময় তাকে বলতে শোনা যায়, 'এসব কাজ কবে থেকে শুরু করেছিস? আর করবি?'

অভিযোগের বিষয়ে জানতে চাইলে কালিয়াকৈর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আকবর আলী খান বলেন, 'অভিযোগ প্রদানের বিষয়টি আমার জানা নেই। খোঁজ নিচ্ছি।'

ধর্মীয় সংখ্যালঘু নির্যাতন থেকে আরও


Link copied