বলাৎকার দৃশ্য দেখে ফেলায় মাদরাসা ছাত্রকে গলা টিপে হত্যা

Anweshan Desk

Anweshan Desk

২৯ মে ২০২৩, ১২:৩২ পিএম


বলাৎকার দৃশ্য দেখে ফেলায় মাদরাসা ছাত্রকে গলা টিপে হত্যা

ফরিদপুরের মধুখালী পৌর সদরের পূর্ব-গাড়াখোলা মোহাম্মদিয়া আছিয়া মাদরাসা ও এতিমখানায় ইমান আলী মোল্লা (৭) নামক এক শিক্ষার্থীকে গলাটিপে হত্যার অভিযোগ উঠেছে একই মাদরাসার এক শিক্ষকের বিরুদ্ধে। সোমবার (২৯ মে) দুপুরে ওই শিক্ষক পালানোর সময় মধুখালী থানা পুলিশ তাকে আটক করে।

নিহত শিক্ষার্থী মধুখালী উপজেলার নওপাড়া ইউনিয়নের সমসকান্দি গ্রামের হৃদয় মোল্যার ছেলে। ঘাতক শিক্ষকের নাম হেদায়েতুল্লাহ (২২)। সে নেত্রকোণা জেলার মোহনগঞ্জ থানার পিরের চর গ্রামের মহসিন মিয়ার ছেলে। শিক্ষক হেমায়েতুল্লাহ দুই সপ্তাহ আগে ওই মাদরাসায় অস্থায়ী ভিত্তিতে যোগদান করেছেন।

জানা যায়, রাতে শিক্ষক হেদায়েতুল্লাহ এক ছাত্রকে বলাৎকার করার সময় নিহত ছাত্র দেখে ফেললে তাকে এসব কথা কাউকে না বলার জন্য নিষেধ করে রাতে ঘুমিয়ে পড়েন শিক্ষক। কিন্তু ঘাতক শিক্ষকের ভয়ে অন্য ছাত্ররা ঘুম থেকে উঠার আগেই সকালের কোনো এক সময় ছাত্র ইমান আলীকে গলা টিপে হত্যা করে মাদরাসা থেকে হোসাইন (১২) নামক অন্য এক ছাত্রকে সাথে করে পালিয়ে যায়। ইতোমধ্যে অন্য ছাত্ররা ঘুম থেকে উঠে মৃত ছাত্রকে দেখে অন্য শিক্ষকদের জানালে তারা থানায় খবর দিলে মধুখালী থানার অফিসার ইনচার্জ শহিদুল ইসলাম তাৎক্ষণিক ফোর্সসহ উপজেলার ঢাকা-খুলনা মহাসড়কের মাঝকান্দি বাসস্ট্যান্ড থেকে ঘাতক শিক্ষককে সঙ্গী ছাত্রসহ আটক করতে সক্ষম হয়।

মধুখালী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. শহিদুল ইসলাম জানান, মাদরাসার সভাপতি হাজী আব্দুস সালাম মিয়া মোবাইল ফোনে জানান যে মোহাম্মাদিয়া আসিয়া মাদরাসা ও এতিমখানায় এক শিশুকে হত্যা করা হয়েছে। আর হত্যাকারী শিক্ষককে খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে না।

পরে দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে উপজেলার রায়পুর ইউনিয়নের ঢাকা-খুলনা মহাসড়েকের মাঝকান্দী এলাকা থেকে আরেক শিশু শিক্ষার্থীসহ শিক্ষক হেদায়েত উল্লাহকে আটক করা হয়েছে। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে তিনি হত্যার দায় স্বীকার করেছেন।

ওসি জানান, ধারণা করা হচ্ছে এক শিশু শিক্ষাথীকে বলাৎকারের দৃশ্য দেখে ফেলায় তাকে শ্বাসরোধে হত্যা করা হয়েছে। মরদেহ ময়না তদন্তের জন্য ফরিদপুর হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে।

সাক্ষাৎকার থেকে আরও

কোনো খবর পাওয়া যায়নি


Link copied