সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে ছিনতাই : ২ ঢাবি শিক্ষার্থী যেভাবে ধরা পড়লো

Anweshan Desk

Anweshan Desk

১২ মে ২০২৩, ১৭:১৪ পিএম


সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে ছিনতাই : ২ ঢাবি শিক্ষার্থী যেভাবে ধরা পড়লো

রাজধানীর সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে এক ব্যক্তিকে মারধর করে ১৫ হাজার টাকা ছিনিয়ে নেয় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) তিন শিক্ষার্থী এবং ছাত্রলীগ নেতা। এ সময় ছিনতাইকারীদের একজন আরও টাকা নেয়ার লোভে ভুক্তভোগীর বাবার নাম্বারে কল দেন। ঘটনার পর ভুক্তভোগী জাতীয় জরুরি সেবা নম্বরে (৯৯৯) ফোন দিলে শাহবাগ থানার উপপরিদর্শক জাহাঙ্গীর হোসেন আসেন তারপর কৌশলে অপরাধীদের গ্রেফতার করেন।

গ্রেপ্তাররা হলেন, বিশ্ববিদ্যালয়ের পপুলেশন সায়েন্স বিভাগের শিক্ষার্থী নুর উদ্দীন আহমেদ এবং রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগের শিক্ষার্থী আবদুল্লাহ আল মুনতাসীর। তারা দুজনই ২০১৭-১৮ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী। নুর উদ্দীন কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের সাবেক সহসম্পাদক এবং আবদুল্লাহ আল মুনতাসীর শহীদ সার্জেন্ট জহুরুল হক ছাত্রলীগের সহসভাপতি। তারা ঢাবি ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক তানভীর হাসান সৈকতের অনুসারী হিসেবে ক্যাম্পাসে নিজেদের পরিচয় দেন।

গত বুধবার রাত সাড়ে আটটার দিকে শাহবাগ জাদুঘরের সামনে থেকে দুই শিক্ষার্থীকে আটক করা হয়। পরে ভুক্তভোগীর মামলার প্রেক্ষিতে তাদের গ্রেপ্তার দেখিয়ে আদালতে পাঠায় পুলিশ। আরও একজন পালিয়ে যান। বুধবার সন্ধ্যা সাড়ে ছয়টায় উদ্যানের স্মৃতিস্তম্ভের পাশে এই ছিনতাইয়ের ঘটনা ঘটে।

ভুক্তভোগী তার লিখিত অভিযোগে বলেন, আমি আমার পরিচিত একজনের কাছ থেকে মোটরসাইকেল কিনতে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের টিএসসিতে আসি। তিনি আমাকে সঙ্গে করে ১৫ হাজার টাকা নিয়ে আসতে বলেন। তবে মোটরসাইকেল নিয়ে তাদের আসতে দেরি হওয়ায় আমি সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে ঘুরতে যাই। সন্ধ্যা সাড়ে ৬টার দিকে সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে গ্লাস টাওয়ারের পশ্চিম পাশে দুই শিক্ষার্থী ও তাদের একজন সহযোগী আমাকে ঘিরে ধরে। তারা আমার প্যান্টের পেছনের ডান পকেটে রাখা মানিব্যাগ থেকে ১৫ হাজার টাকা ছিনিয়ে নেয়। এ সময় মুনতাসির তার মোবাইল ফোন দিয়ে আমার ছবি তোলে এবং আমার বাবার মোবাইল নম্বর নিয়ে তাকে ফোন করে।

অভিযোগে ভুক্তভোগী লেখেন, আমি ৯৯৯ নম্বরে ফোন করে ঘটনা জানালে তাৎক্ষণিক শাহবাগ থানার এসআই মো. জাহাঙ্গীর হোসেন আমার কাছে হাজির হন। আমি তাদের ঘটনা খুলে বলি।

শাহবাগ থানার এসআই জাহাঙ্গীর হোসেন বলেন, আসামিরা ভুক্তভোগীর বাবার নম্বরে ফোন দেওয়াটাই তাদের জন্য কাল হয়েছে। এর মাধ্যমে সেই আসামির নম্বর সংগ্রহ করে তাদের আরও টাকার লোভ দেখিয়ে জাদুঘরের সামনে আসতে বলা হয়। তারা দুজন আরও টাকা নেওয়ার জন্য রাত সাড়ে ৮টার দিকে এলে আমরা তাদের আটক করি। এরপর ভুক্তভোগী তাদের শনাক্ত করেন। পরে আমরা তাদের জিজ্ঞাসাবাদ করলে তারা ঘটনায় জড়িত থাকার কথা স্বীকার করে।

শাহবাগ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) নুর মোহাম্মদ জানান, ছিনতাইয়ের শিকার ওই ব্যক্তির লিখিত অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে অভিযোগটি মামলা হিসেবে গ্রহণ করে আটক দুই শিক্ষার্থীকে গ্রেপ্তার দেখিয়ে আদালতে পাঠানো হয়। এ ঘটনায় রাজিব নামের আরও এক শিক্ষার্থী জড়িত। পালিয়ে যাওয়ায় তাকে এখনো গ্রেপ্তার করা হয়নি।

সাক্ষাৎকার থেকে আরও

কোনো খবর পাওয়া যায়নি


Link copied