বোরকাকে বিশ্ববিদ্যালয়ের ড্রেসকোড ঘোষণার দাবি

Anweshan Desk

Anweshan Desk

১৮ সেপ্টেম্বর ২০২২, ১৭:৪৪ পিএম


বোরকাকে বিশ্ববিদ্যালয়ের ড্রেসকোড ঘোষণার দাবি

ঢাকা বিশ্বদিদ্যালয়ের এক শিক্ষার্থীকে ভাইভা পরীক্ষায় হিজাব নিকাব খুলে আসতে বলায় , পর্দায় বাধা দেয়ার অভিযোগ এনে প্রতিবাদ ও মানববন্ধন করেছে ইসলামি ছাত্র আন্দোলন ঢাবি শাখা।

 

রোববার (১৮ সেপ্টেম্বর) দুপুরে বিশ্ববিদ্যালয়ের রাজু ভাস্কর্যের পাদদেশে এ কর্মসূচি পালন করেন সংগঠনটির সদস্যরা

 

মানববন্ধন থেকে বোরকাকে বিশ্ববিদ্যালয়ে ফরমাল ড্রেস ঘোষণা, বায়োমেট্রিকস পদ্ধতিতে শনাক্ত, ওই শিক্ষার্থীকে ভাইভায় উপস্থিত দেখানো এবং কেউ ধর্মীয় পোশাকের বিরুদ্ধে বৈষম্যমূলক আচরণ করলে তাকে শাস্তির আওতায় আনার দাবি জানানো হয়।

 

ইসলামী ছাত্র আন্দোলন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শাখার ভারপ্রাপ্ত সভাপতি ইয়াছিন আরাফাতের সভাপতিত্বে ও প্রশিক্ষণ বিষয়ক সম্পাদক হাসিবুল ইসলামের সঞ্চালনায় এ সময় বক্তব্য রাখেন, কেন্দ্রীয় পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয় সম্পাদক মাহবুবুর রহমান মানিক, ঢাবি শাখার অর্থ সম্পাদক মোহাম্মদ আলী এবং সদস্য আলাউদ্দিন প্রমুখ।

 

সভাপতির বক্তব্যে ইয়াসিন আরাফাত বলেন, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় উন্মুক্ত সংস্কৃতি চর্চার কেন্দ্র। এখানে হাজার হাজার শিক্ষার্থী পর্দা করেন। বিভিন্নভাবে তাদের হেনস্তা করা হয়। ডি ইউনিটের ভাইভা পরীক্ষায় ডিন একজন ছাত্রীকে জিজ্ঞেস করেছিলেন তুমি হিজাব পরেছ কেন? ওই ছাত্রী উত্তর দিয়েছিলেন যে, আমার ফ্যামিলির সবাই পরে, তাই আমিও পরি। তখন ডিন বলেছিলেন, পরিবারের সবাই যদি জঙ্গি হয় তাহলে তুমিও কি জঙ্গি হবে? এই হলো আমাদের শিক্ষকের মানসিকতা। 

 

পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয় সম্পাদক মাহবুবুর রহমান মানিক বলেন, এখানে যে যার নিজের মতো সবকিছু পালন করবেন, সংবিধান আমাদের সে অধিকার দিয়েছেন। কেউ ধর্মীয় বিধিনিষেধ মেনে চললে তার সঙ্গে কেন এমন আচরণ করা হবে? ঢাবি প্রতিষ্ঠা হয়েছে মুসলমানদের স্বার্থ রক্ষাকে কেন্দ্র করে। তাহলে এখানে মুসলমানদের কেন আজ এ অবস্থা?

 

তিনি বলেন, ওই নারী শিক্ষার্থীকে যে মানসিক নির্যাতন করা হলো, তার বিচার করতে হবে। আমাদের দাবি, তাকে ভাইবায় উপস্থিত দেখাতে হবে। যদি না দেখানো হয়, তাহলে আমরা প্রয়োজনে আইনি প্রক্রিয়ায় লড়ব। দাবি আদায়ের জন্য আন্দোলন করব। আপনারাই বলে থাকেন, সবার ধর্ম পালনের স্বাধীনতা আছে। কিন্তু কোথায় সেই স্বাধীনতা? দাঁড়ি-টুপি দেখলেই বলা হয় জঙ্গি। এটি কেমন ধরনের স্বাধীনতা? 

 

বিশ্ববিদ্যালয়ের এক শিক্ষার্থী বলেন, " ভাইবা বোর্ডে মুখ এবং কান খোলা রাখা বিশ্ববিদ্যালয়ের নিয়ম। কেননা, এর পূর্বে বিভিন্ন পরীক্ষার হলে হিজাব পরে কানে ব্লুটুথ লাগিয়ে প্রতারণার আশ্রয় নেয়ার ঘটনা ঘটেছে। তাই ওই শিক্ষার্থীকে বলা হয়েছে যেন পরেরদিন পরীক্ষার হলে হিজাব নিকাব ছাড়া আসে, কিন্তু সেই শিক্ষার্থী পরেরদিনও হিজাব নিকাব পরে এসেছে এবং খুলতে অস্বীকৃতি জানায়। শিক্ষকরা বুঝানোর চেষ্টা করলে সে শুনে না বরং উল্টো বেয়াদবি করে। ফলে, ভাইবা বোর্ড থেকে তাকে অনুপস্থিত দেখানো হয়। ওই শিক্ষার্থী আরও বলেন,  আমি নিজেও হিজাব পরি, তাই বলে কি আমি কোথাও প্রয়োজনে হিজাব খুলবো না? অবশ্যই প্রয়োজনে বা নিরাপত্তার স্বার্থে সেটা খুলতে হবে। এসব ধর্মীয় গোঁড়ামী ছাড়া কিছুই নয়। কোন মহিলা মাদ্রাসায় যদি কোন শিক্ষার্থী হিজাব বা নিকাব ছাড়া যেতে চায় তবে কি তাকে যেতে দেয়া হবে?  অবশ্যই না। কারণ, প্রতিটি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের কিছু নিয়ম থাকেই এবং সেসব জেনেই বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হতে হয়। "


Link copied