ইরানে নৈতিকতা পুলিশ বিলুপ্তির সিদ্ধান্ত

Anweshan Desk

Anweshan Desk

০৪ ডিসেম্বর ২০২২, ২০:১৯ পিএম


ইরানে নৈতিকতা পুলিশ বিলুপ্তির সিদ্ধান্ত

নারীদের জন্য বেঁধে দেয়া ইরানের কঠোর ড্রেসকোড হিজাব সঠিকভাবে না পরার অভিযোগে গ্রেপ্তার হওয়া ২২ বছর বয়সী নারী মাহসা আমিনির পুলিশি হেফাজতে মৃত্যুর কারণে দুই মাসের তীব্র প্রতিবাদের পর ইরান অবশেষে তার নৈতিকতা পুলিশ ইউনিটগুলি বাতিল করেছে বলে জানিয়েছেন দেশটির শীর্ষ বিচার বিভাগীয় কর্মকর্তা প্রসিকিউটর জেনারেল মোহাম্মদ জাফর মোন্তাজেরি।

নারীদের ইসলামি ড্রেস কোড বা পোশাক পরিধান সহ ইসলামি বিভিন্ন নীতি-নৈতিকতার প্রয়োগ নিশ্চিত করাই ছিল মরালিটি বা নৈতিকতা বিষয়ক এই পুলিশ বাহিনীর অন্যতম প্রধান কাজ।

মোহাম্মদ জাফর মোন্তাজেরি বলেছেন, ইরানের বিচার বিভাগের সাথে নৈতিকতা পুলিশের কোনো সম্পর্ক নেই এবং এই পুলিশকে বিলুপ্ত করা হয়েছে।

রোববার (৪ ডিসেম্বর) কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আল-জাজিরা এক প্রতিবেদনে এ তথ্য নিশ্চিত করেছে।

এর আগে মোন্তাজেরি জানিয়েছিলেন, হিজাব আইনে কোনো পরিবর্তন করা যায় কি না, তা যৌথভাবে খতিয়ে দেখছে আইন এবং বিচারবিভাগ। তবে হিজাব আইনে ঠিক কি ধরনের পরিবর্তন আনা হতে পারে সে বিষয়ে স্পষ্ট করে কিছু জানা যায়নি।

তিনি আরও জানান, সংসদের সাংস্কৃতিক কমিশনের সঙ্গে দেখা করেছেন দুই বিভাগের যৌথ প্রতিনিধি দল। হিজাব আইনে পরিবর্তনের বিষয়ে তাদের মধ্যে বিস্তারিত কথা হয়েছে বলে দাবি করেছেন তিনি।

অন্যদিকে গত শনিবার প্রেসিডেন্ট ইব্রাহিম রাইসি জানিয়েছিলেন, ইরানের সাধারণতন্ত্র এবং ইসলামিক প্রতিষ্ঠানগুলো সাংবিধানিকভাবে শক্ত ভিতের উপর প্রতিষ্ঠিত। তবে নির্দিষ্ট কিছু প্রক্রিয়ার মাধ্যমে দেশের সংবিধানে বদল আনা সম্ভব বলে মন্তব্য করেন তিনি। 

প্রেসিডেন্টের এই বার্তার মধ্যেই সম্ভাব্য পরিবর্তনের ইঙ্গিত ছিল বলে অনেকে মনে করেন। 

এদিকে,  অ্যাটর্নি জেনারেলকে উদ্ধৃত করে বার্তা সংস্থা এএফপি এবং লন্ডনের দৈনিক গার্ডিয়ান সহ ডজন খানেক আন্তর্জাতিক মিডিয়া খবর দিয়েছে, হিজাব বাধ্যকতামুলক করে জারী করা আইনটি সরকার পুনর্বিবেচনা করছে।

তবে ইরানের নিরাপত্তা বাহিনী বা সরকারের আরও উঁচু মহল থেকে এমন সিদ্ধান্তের কথা এখনও নিশ্চিত করা হয়নি।

মত প্রকাশের স্বাধীনতা থেকে আরও


Link copied