কুমিল্লার দাউদকান্দিতে মাদ্রাসার শিক্ষক দ্বারা নির্যাতনের শিকার অবুঝ ছাত্র

Anweshan Desk

Anweshan Desk

২১ সেপ্টেম্বর ২০২২, ২০:৫৪ পিএম


কুমিল্লার দাউদকান্দিতে মাদ্রাসার শিক্ষক দ্বারা নির্যাতনের শিকার অবুঝ ছাত্র

দাউদকান্দির লক্ষ্মীপুরে মাদ্রাসার শিক্ষক দ্বারা

অবুঝ ছাত্র রিফাত নি°র্যাতনের শিকার হয়েছে।

এই ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে সবাই বলাবলি করছে, শিক্ষক তো এমন হতে পারেন না! সে শিক্ষক নামের কলঙ্ক। কচি এই বাচ্চাটির উপর এমন নির্মম প্রহা°র কী করে মেনে নেওয়া যায়?

 

চাঁদপুর জেলার কচুয়া উপজেলার বায়েক গ্রামের ওমান প্রবাসী মোঃ আবুবকরের পুত্র মোঃ রিফাত হোসেন (১১)। সে গত তিন মাস আগে ২০৩০ টাকা ফিঃ দিয়ে ভর্তি হয়, দাউদকান্দি উপজেলার লক্ষ্মীপুর জামিয়া ইসলামিয়া মদিনাতুল উলুম মাদ্রাসায়।

 

পড়াশোনা ভালোই চলছিল ছেলেটির। কিন্তু গত ১৮, ১৯ ও ২০ সেপ্টেম্বর টানা ৩ দিন পড়া না পারার অজুহাতে মাদ্রাসার শিক্ষক হাফেজ আরিফুল ইসলাম এমনভাবে বেত্রা°ঘাত করে রিফাতকে, যা ভাষায় প্রকাশ করার মত নয়। ছেলেটির পুরো শরীরে আঘা°তের চিহ্ন-যা দেখে পাষাণ মানুষও কষ্ট পাবে।

 

আজকে রিফাতের মা তাকে নিয়ে আমাদের এখানে এসে কান্নায় ভেঙে পড়েন। তিনি ওই নির্যাতনকারী শিক্ষকের বিচার দাবি করেন। তিনি বলেন, 'আমি প্রায় ৩ মাস আগে এই মাদ্রাসায় হেফজ বিভাগে আমার ছেলেকে ভর্তি করি। আমার স্বামী প্রবাসে থাকার পরও প্রতি মাসে আমি নিজে এসে মাদ্রাসার বেতন ও আবাসিক খরচ পরিশোধ করে আসছি। কিন্তু গত তিনদিন ধরে পড়া না পারার বাহানায়, হুজুর আমার ছেলেকে প্রচণ্ড মেরে শরীর জখম করে ফেলেছে। রিফাত এখন খুবই অসুস্থ। তার শরীরের আ°ঘাত দেখে আমার কলিজা ফেটে গেছে। তাকে আমি ডাক্তার দেখিয়েছি। ডাক্তার বলেছে, চিকিৎসা শেষে আমাকে আইনের আশ্রয় নিতে বলেছে। তিনি আরও বলেন, 'আমার ছেলেকে আল্লাহ পাক বাঁচিয়ে রেখেছেন। আর একটু হলে সে মরেই যেতে। তার চিৎকারে একটুও মন গলেনি পাষণ্ড হুজুর আরিফুলের। আমি আমার সন্তানের উপর এমন নির্মম প্রহা°রের বিচার চাই'।

 

এদিকে হাফেজ আরিফুল ইসলামের সঙ্গে ফোনে যোগাযোগ করা হলে, তিনি মারধরের কথা স্বীকার করেন এবং এই নির্যাতনের জন্য অনুতপ্ত হন। তিনি আরও বলেন, রাগের বশে এমন কাণ্ড আমি ঘটিয়ে ফেলেছি। এমন কাজ আর কখনও করবো না'।

 

এব্যাপারে "নিরাপদ চিকিৎসা চাই', কুমিল্লা জেলার দপ্তর সম্পাদক মোঃ তৈয়ব আলী বলেন,' বিষয়টি  শোনার পরপরই আমি ওই শিক্ষকের সাথে যোগাযোগ করি, সে নির্যাতনের কথা স্বীকার করে। সে আমাকে বলে, আমার মাথা ঠিক ছিল না, তাই আমি এমন কাজ করেছি। এমন ভুল আর হবে না'। মোঃ তৈয়ব আলী আরও বলেন, 'এই টানা ৩ দিনের মার°ধরের পেছনে আরও কোন বিষয় আছে কি না, তা নিবিড়  অনুসন্ধানের প্রয়োজন বলে মনে করছি।

মত প্রকাশের স্বাধীনতা থেকে আরও


Link copied